স্কুলের শৌচাগার থেকে ছাত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।(প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: শহরে ফের চাঞ্চল্যকর ঘটনা। একটি নামী স্কুলের (prominent school) শৌচাগার (toilet) থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ছাত্রীকে( A teenage girl) উদ্ধার করা হয় শুক্রবার। মাথায় প্লাস্টিক জড়ানো অবস্থায় উদ্ধার হওয়া ওই ছাত্রীর হাতের শিরা কাটা ছিল বলেও জানা গেছে। দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। মেয়েটির পাশ থেকে তিন পাতার একটি সুইসাইড নোটও (suicide note)উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর।জানা গেছে, মৃত মেয়েটি ক্লাসের প্রথম সারির ছাত্রী ছিল । ঘটনার খবর পেয়েই স্কুলে যান পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা, গোটা ঘটনার তদন্ত করছেন তাঁরা।
প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ছাত্রীটি আত্মহত্যা করেছে (case of suicide) , তবে ঘটনায় অন্যান্য সম্ভাবনার দিকগুলোও খতিয়ে দেখছেন পুলিসের তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, দুপুর ১টা ৪০ নাগাদ ঐ ছাত্রীটি স্কুলের শৌচাগারে (toilet) যায়। তারপর কুড়ি মিনিট পার হয়ে যাওয়ার পরেও সে শৌচাগার থেকে না ফিরলে তাঁর খোঁজ শুরু হয়।
শৌচাগারে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়, এবং তাঁর (girl) বাঁ হাতের কবজির কাছে( left wrist) একটি গভীর ক্ষত লক্ষ্য করা যায়।অনুমান করা হচ্ছে আত্মহ্ত্যা করার সময় যাতে তাঁর গোঙানি কেউ না শুনতে পায় তার জন্যে সে মুখ সহ মাথায় প্লাস্টিকের ব্যাগ বেঁধে নিয়েছিল।
শহরের নামী স্কুলের এই ঘটনা আলোড়ন ফেলেছে শহরবাসীর মধ্যে।অনেকেই এই ঘটনার নেপথ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেও দায়ী করছেন। স্কুলগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা (CCTV cameras) লাগানো থাকা সত্ত্বেও কিভাবে সকলের চোখ এড়িয়ে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।