বিহারের হোমে ধর্ষণকাণ্ড: মুজফ্ফরনগরের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুর
হাইলাইটস
- মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছে সিবিআই
- সিবিআইয়ের মতে, নাবালিকাদের ধর্ষণ করেছিল ব্রজেশ ঠাকুরের অতিথিরা
- পরীক্ষায় প্রমাণ মিলেছে, ৪২ জনের মধ্যে ৩৪ জন নাবালিকা যৌন নিগ্রহের শিকার
পটনা: নাবালিকা মেয়েদের চটুল গানে নাচতে এবং পরে তাদের ধর্ষণ করা হয়েছিল বলে জানতে পেরেছে সিবিআই। বিহারর মুজফ্ফরনগরের হোমের ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। ঘটনায় উঠে এসেছে প্রভাবশালী রাজনীতিক এবং আমলাদের নাম। হোমের মূল কর্তা তথা প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ব্রজেশ ঠাকুরের বিরুদ্ধে ৭৩ পাতার চার্জশিট পেশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
উত্তরপ্রদেশে গাছে দুই বোনের ঝুলন্ত দেহ, মারধর করেছেন মা, জানিয়েছে পুলিশ
ব্রজেশ ঠাকুর, হোমের কর্মী সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে পক্সো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।চার্জশিটে উল্লেখ, নাবালিকাদের খোলামো পোষাক পড়ে চটুল ভোজপুরী গানের তালে নাচতে এবং নেশা করানো হয়। সিবিআই জানিয়েছে, পরে ব্রজেশ ঠাকুরের অতিথিরা নাবালিকাদের ধর্ষণ করে। যে নাবালিকারা বাধা দিয়েছে, তাদের মারধর এবং অত্যাচার করা হয় বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্সের একটি অডিট রিপোর্টে ১০ বছর ধরে চলা বিহারের এই সরকারি হোমে নাবালিকাদের ওপর যৌন অত্যাচারের কাহিনি সামনে এসেছে।
মুজফ্ফরনগরের হোম: চারতলা হোমটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়
শারীরিক পরীক্ষায় ৪২ জন কিশোরীর মধ্যে ৩৪ জনের সঙ্গে যৌন নিগ্রহের প্রমাণ মিলেছে। পরে চারতলা ওই ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ব্রজেশ ঠাকুর রাজ্যের জেডিইউ সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাকে অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এমনকী, তদন্তে যাতে কোনও বাধা বিঘ্ন না ঘটে, সেই জন্য তাকে রাজ্যের বাইরের জেলে স্থানান্তরিত করার সুপারিশ করেছে শীর্ষ আদালত।
প্রাণ সংশয় আছে জানতাম কিন্তু তবুও যেতেই হত, দাবি শবরীমালায় ইতিহাস গড়া দুই মহিলার
নীতিশ কুমারের সরকারের বিরুদ্ধে ব্রজেশ ঠাকুরকে সমর্থনের অভিযোগ তুলেছে আরজেডি। ঘটনায় মূল অভিযুক্তের সঙ্গে জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে একাধিকবার চন্দ্রশেখর ভার্মার কথা হওয়ার বিষয়টি তদন্তকারীরা সামনে আনতেই পদত্যাগ করেছেন বিহারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী মঞ্জু ভার্মা।