পাশাপাশি পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করে অবিলম্বে তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদনও ভারত সরকারকে করেছেন শ্রীমতী সনিয়া গান্ধি। (ফাইল)
হাইলাইটস
- নানকানা সাহিব গুরুদ্বারের হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন সনিয়া গান্ধি
- এই ঘটনাকে 'অযাচিত এবং অপ্ররোচিত' দাবি করেন সনিয়া গান্ধি
- কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে সে দেশে সংখ্যালঘুদের হাল
নয়াদিল্লি: নানকানা সাহিব গুরুদ্বারের (Sikh Shrine) হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধি (Sonia Gandhi)। এই ঘটনাকে 'অযাচিত এবং অপ্ররোচিত' দাবি করে তীব্র নিন্দা করেছেন সে দলের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি। এবিষয়ে তিনি কেন্দ্রকে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কথা বলে সে দেশের শিখদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে আবেদন করেন। শনিবার এক বিবৃতিতে (Statement) কংগ্রেস জানিয়েছে, আমাদের সভানেত্রী শ্রীমতী সনিয়া গান্ধি নানকানা সাহিব গুরুদ্বারার হামলার নিন্দা করেছেন। ওই ঘটনাকে অযাচিত এবং অপ্ররোচিত আখ্যা দিয়ে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব বলে চিহ্নিত করেছেন।সেই বিবৃতিতে আরও বলা, "এই ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আমাদের সভানেত্রী ভারত সরকারকে উদ্যোগী হতে আবেদন করেছেন । পাশাপাশি পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করে অবিলম্বে তীর্থযাত্রীদের (Pilgrim) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদনও ভারত সরকারকে করেছেন শ্রীমতী সনিয়া গান্ধি ।পবিত্র ওই তীর্থস্থানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে ভবিষ্যতের জন্য সুরক্ষিত করতে পাকিস্তানের সরকারকে আবেদন জানান তিনি। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করুক ভারত সরকার, এমনটাই বিবৃতিতে দাবি করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Union Minister) হরদীপ পুরী জানিয়েছেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে সে দেশে সংখ্যালঘুদের হাল । তাই সিএএ-র যারা বিরোধিতা করছেন তাঁরা একবার ভেবে দেখুন নিজেদের অবস্থান পালটাবেন কিনা। পাশাপাশি শনিবার সকালে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বলেছেন, ভিন্নমতের প্রতি অসহিষ্ণুতা মারাত্মক বদ-অভ্যাস। একমাত্র ভালোবাসা এর মোক্ষম দাওয়াই।
শুক্রবার গুরুনানকের (Gurunanok) জন্মস্থানের স্মৃতিবিজড়িত ওই গুরুদ্বারাতে হামলা চালায় কয়েকজন উন্মত্ত জনতা। উঠেছিল শিখ-বিরোধী স্লোগান। সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শনিবার টুইটারে সরব হলেন রাহুল গান্ধি।জানা গেছে, এদিন সকালেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরশিমরত কৌর বাদল রাহুল গান্ধির নীরব থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কংগ্রেস সাংসদ শিখ-বিরোধী, এমন অভিযোগ তুলে কটাক্ষ করেছিলেন, ওর পাকিস্তানের বিপক্ষে বলার সময় নেই। তিনি শুধু মানুষকে বিভ্রান্ত করতেই ব্যস্ত। তারপর তড়িঘড়ি কংগ্রেস সাংসদের এই টুইট বলে খবর।
এদিন তিনি টুইটারে লেখেন, "নানকানা সাহিবের হামলা নিন্দনীয়। দল-মত নির্বিশেষে আমাদের এর প্রতিবাদ করা উচিত। ভিন মতের প্রতি অসহিষ্ণুতা একটা প্রাচীন বদ-অভ্যাস। যে অভ্যাস কোনও সীমান্ত মানে না। ভালোবাসা, পারস্পরিক সম্মান আর বোঝাপড়া এই অভ্যাসের মোক্ষম দাওয়াই।" জানা গেছে, সেদিন দুপুরে ওই গুরুদ্বারাতে যখন ভক্ত সমাগম প্রবল, তখন কয়েকজন উন্মত্ত জনতা হামলা চালায়। বাইরে থেকে পাথর ছুঁড়তে থাকে। এই ঘটনার নিন্দা করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। বিবৃতি জারি করে অবিলম্বে সে দেশের শিখ ধর্মালম্বীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলেছে বিদেশ মন্ত্রক। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের রিপোর্ট উল্লেখ করে ইসলামাবাদ দাবি করেছে, স্থানীয় এক চায়ের দোকানে 'সামান্য বাকবিতণ্ডায়' জড়িয়েছিলেন কয়েকজন যুবক।