গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী তথা দেশের প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পারিকরের মৃত্যুর পর কে দায়িত্ব নেবেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। গোয়ায় অন্য কয়েকটি দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার চালায় বিজেপি। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা ঠিক করতে গোয়া পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী নীতিন গড়করি। সেখানে গিয়ে বৈঠক শুরু করেছেন তিনি। ২০১৭ সালে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন হয়। সেখানে কোনও দল একক সংখ্যাগোরিষ্ঠতা পায়নি। তবে সবথেকে বেশি আসন পায় কংগ্রেস। যদিও সরকার গঠন করতে পারেনি তারা। সে সময়ও মহারাষ্ট্রের নেতা তথা কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন অন্য দল গুলির সঙ্গে সরকার গঠনের ব্যাপারে আলোচনা চালাতে থাকেন। আর সেই সূত্র ধরে আরও একবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হন মনোহর পারিকর।
কবে শেষ ফাইলে স্বাক্ষর করেছিলেন মনোহর পারিকর
মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির নেতা সুনীল দাভালিকর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
গোয়া বিধানসভার বিধায়ক সংখ্যা ৪০। কিন্তু আগেই এক বিধায়কের মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দুই বিধায়ক। আর তাই এখন গোয়া বিধানসভার সদস্য সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৭। এর মধ্যে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১৪ আর বিজেপির ১৩। ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তাকে সম্বল করে মনোহর পারিকর বাকি দল গুলিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারতেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরার পরও শরিকরা যাতে ক্ষুব্ধ না হয়ে যায় সেই চেষ্টা করেন মনোহর। এখন তাঁর মৃত্যুর পর সরকারে রদবদল ঘটতে চলেছে। গোয়ায় গিয়েই গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক করেন নীতিন। বিভিন্ন সম্ভবনা নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। সেখানে বিজেপি নেতাদের পাশাপাশি সহযোগী দলের নেতারাও হাজির ছিলেন। আর ওই বৈঠক থেকেই মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির নেতা সুনীল দাভালিকর মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি জানান অতীতে বিজেপির জন্য স্বার্থ ত্যাগ করেছেন এবার তিনি দায়িত্ব চান। তবে বিজেপি চায় তাদের দলের কেউ এই দায়িত্ব নিন। সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়করা বিশ্বজিৎ রাণে এবং প্রমোদ সাওয়ান্তের কথা কেন্দ্রীয় নেতাদের বলেছেন। শুধু দাভিলকর নয় গোয়া ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা বিজয় সারদেশাইও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।