This Article is From Nov 23, 2019

গোধরায় ট্রেনে আগুন ধরিয়ে কর সেবককে হত্যা কংগ্রেসের 'ষড়যন্ত্র': পাঠ্যবইতে নয়া ইতিহাস

Gujarat Ni Rajkiya Gatha: বিরোধী কংগ্রেস যদিও এই বিষয়টিকে বিজেপি সরকারের বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ডের (ইউজিএনবি) গৈরিকীকরণের প্রয়াস বলেই মনে করছে।

গোধরায় ট্রেনে আগুন ধরিয়ে কর সেবককে হত্যা কংগ্রেসের 'ষড়যন্ত্র': পাঠ্যবইতে নয়া ইতিহাস

‘গুজরাট নি রাজকিয়া গাথা' (Political Saga of Gujarat) নামের এই বইটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয়

আহমেদাবাদ:

২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সবরমতী ট্রেনটিতে আগুন (Sabarmati train fire) ধরিয়ে দিয়ে ৫৯ কর সেবককে হত্যা এবং বীভৎস সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আসলে নাকি গোধরা (Godhra) থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্যদের পরিচালিত ‘ষড়যন্ত্র'-এরই একটি অংশ! রাজ্য বোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত গুজরাটের রাজনৈতিক ইতিহাস সম্পর্কিত একটি সহায়িকা বইতে ছাপা হয়েছে এমন তথ্যই। বিরোধী কংগ্রেস যদিও এই বিষয়টিকে বিজেপি সরকারের University Granth Nirman Board বা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ডের (ইউজিএনবি) গৈরিকীকরণের প্রয়াস বলেই মনে করছে। কংগ্রেস আরও জানিয়েছে যে, গোধরার ট্রেন পোড়ানোর ঘটনায় আদালতের রায়কে ‘ঘুরিয়ে' দেওয়ার জন্য তারা লেখকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও করবেন। ‘গুজরাট নি রাজকিয়া গাথা' (Political Saga of Gujarat) নামের এই বইটি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রকাশিত হয় এবং বইটির সম্পাদনা করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ এবং বোর্ডের বর্তমান ভাইস-চেয়ারপার্সন ভাবনাবেন দাভে (Bhavnaben Dave)। 

আরও পড়ুনঃ ৯৩ বছরে মুম্বাইয়ে প্রয়াত শাবানা আজমির মা, গণনাট্য কর্মী অভিনেত্রী শওকত আজমি

২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি! গোধরা ট্রেন পোড়ানোর ঘটনা গুজরাটের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূচনা করে। ওই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ, যাঁদের অধিকাংশই মুসলমান, নিহত হন। “একটি স্থিতিশীল সরকারকে অস্থিতিশীল করার জন্য ২০০২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একটি ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। অযোধ্যা থেকে ফিরে আসা কর সেবকবাহী সবরমতী (এক্সপ্রেস) ট্রেনের একটি কোচে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৫৯ জন কর সেবককে হত্যা করা হয়েছিল। এই ষড়যন্ত্রটির পিছনে ছিলেন গোধরা থেকে কংগ্রেসের নির্বাচিত সদস্যরা,” এমনটাই লেখা হয়েছে বইটির একটি অনুচ্ছেদে।

আরও পড়ুনঃ পিছন থেকে ছুরি মেরেছেন অজিত পাওয়ার, মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গে বলল শিবসেনা

বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আঞ্চলিক ভাষায় পাঠ্যপুস্তক এবং সহায়িকা বই প্রকাশের জন্য কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছ থেকেই তহবিল পায় এই বোর্ড। পঞ্চমহল জেলার শহর গোধরায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার উল্লেখ ছাড়াও বইটিতে লেখা হয়েছে যে, নর্মদা বাঁধ প্রকল্পে ‘বাধা সৃষ্টি' করেছিল গুজরাটে এবং কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকা বিগত কংগ্রেস সরকার। “কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার একই দলের (কংগ্রেস) হওয়া সত্ত্বেও, কাজের (বাঁধ নির্মাণের) গতি বাড়াতে পারেনি। প্রকল্পটি থামানোর জন্য অনেক বাধা তৈরি করা হয়েছিল,” লেখা হয়েছে ওই বইয়ে।

কংগ্রেসের রাজ্য শাখার সভাপতি অমিত চাভদা বলেন, “বইয়ের বিষয়বস্তুগুলি স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে যে বিজেপি সরকার বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থ নির্মাণ বোর্ডের গৈরিকীকরণের প্রয়াস করছে। তথ্য ও প্রমাণকে ঘুরিয়ে দিয়ে এবং ইতিহাসকে বিকৃত করে বইটিতে বিজেপি সরকারের তোষামদ করা হয়েছে, কংগ্রেসের ভূমিকাকে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ করে দেখানো হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা গোধরা মামলায় আদালতের দেওয়া রায়কে ঘুরিয়ে পেশ করার জন্য লেখকদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করব এবং বইটি প্রত্যাহারের জন্য আন্দোলন শুরু করব।”

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বইয়ের সহ-লেখক ভাবনাবেন দাভে বলেন, “আদালত যে আদেশ দিয়েছেন তা সকলেরই দেখার, এবং এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। কংগ্রেস যদি মনে করে তবে আপত্তি করতেই পারে। যদি কংগ্রেস এতে নিজের ব্যর্থতা খুঁজে পায় (বইটিতে উল্লিখিত) এবং এতে দুঃখ পায়, তাহলে তা দলেরই সমস্যা।”

.