কানওয়ার যাত্রায় 1.25 কোটি টাকা খরচ করেছেন তিনি- দাবি গোল্ডেন বাবার
হরিদ্বার: ত্যাগেই সুখ! বা সাধনা করতে হলে জাগতিক বিষয়ের মায়া ছাড়তে হবে।
কে বলল?
সাধনার ভাষা তো পাল্টেই ফেলেছেন ‘গোল্ডেন বাবা’। হরিদ্বারের এই সাধু কোটিপতি তো বটেই, নিজের গায়েও কেজি কেজি সোনা চাপিয়ে ঘুরে বেড়াতেই পছন্দ করেন। উত্তরাখন্ডের হরিদ্বারে শুরু হয়েছে শিবভক্তদের তীর্থযাত্রা, যা কাঁওয়ার যাত্রা নামেই পরিচিত। প্রতিবছরই এই যাত্রায় দেখা মেলে সোনার গয়নায় ঢাকা বছর ছাপান্নর এই সাধুর। এবার তিনি জানিয়েছেন 20 কেজির মতো গয়না পরে যাত্রায় পা মিলিয়েছেন তিনি।
“আমিই তো এই যাত্রার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। যেখানেই যাই লোকে ভিড় করে আমাকে দেখতে আসে। আমার তো দিব্যি লাগে। পুলিশ পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে হিমশিম খায়”- বলেন জুনা আখড়ার এই গোল্ডেন পুরী মহারাজ।
বলা হয় যে, সাধু হওয়ার আগে দিল্লির এক ব্যবসায়ী ছিলেন এই গোল্ডেন বাবা। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু পুলিশ কেসও ছিল। তখন অবশ্য তাঁর নাম ছিল বিট্টু লাইটবাজ। তা বিটটু লাইটবাজ কীভাবে সাধু হয়ে গেল এ নিয়ে বিশদ জানা না গেলেও মনে করা হয়, পুলিশের খাতা থেকে নাম সরাতেই রাতারাতি সাধু হয়ে যান তিনি।
এই বছর এই কাঁওয়ার যাত্রা 25 তম বছরে পা দিল। রজত জয়ন্তীতে তো কিছু স্পেশ্যাল করতেই হয়। অন্যান্য বারের থেকে তাই আরও চার কেজি বেশি সোনার গয়না পরে পথে নেমেছেন ‘বাবা’। এমনকী শিবের মাথায় জল ঢালার পাত্রটিও সোনা বাধানো।
"একটা সময় ছিল যখন আমি মাত্র কয়েক গ্রামের সোনার গয়না পরতাম। সবই তো ভোলা বাবার আশীর্বাদ! এখন আমি কিলো কিলো সোনার গয়না পরি। খুব ভারী, গায়ে রাখা যায় না। তাও, পরতে ভালোই তো লাগে!”- বলেন গোল্ডেন বাবা। তিনি আরও জানান, এই বছর কাঁওয়ার যাত্রা উপলক্ষে তিনি 1.25 কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। “আমার সাথে 250-300 জন তীর্থযাত্রী রয়েছে এবং আমি সবার খাবার, অ্যাম্বুলেন্স, আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছি"-বলেন গোল্ডেন বাবা।