দিল্লির ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশন রাজীব চকে হঠাৎ স্লোগান; "গোলি মারো...।"
হাইলাইটস
- দিল্লির ব্যস্ততম রাজীব চক মেট্রো স্টেশনে "গুলি মার" স্লোগান
- সিসিটিভি দেখে ছ'জনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে মেট্রো রেল
- শনিবার সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ ঘটে এই ঘটনা, দাবি এক প্রত্যক্ষদর্শীর
নয়া দিল্লি: দিনের ব্যস্ত সময়ে দিল্লির ব্যস্ততম মেট্রো স্টেশন রাজীব চকে (Rajiv Chowk Station) হঠাৎ স্লোগান; "গোলি মারো...।" হিংসাদীর্ণ থেকে ছন্দে ফেরা দিল্লিতে শনিবার সকালের এই স্লোগান (Goli Maro Slogan) নিত্যযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে। ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, সাদা টি-শার্ট আর কমলা ফেট্টি মাথায় বেঁধে কয়েকজন স্লোগান দিচ্ছেন; দেশেকে গদ্দারোকো (বিশ্বাসঘাতক), গোলি মারো শা*কো। এই স্লোগান ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গেই তৎপর হয় দিল্লি মেট্রো (Delhi Metro)। সিসিটিভি দেখে অভিযুক্ত ছ'জনকে মেট্রো রেল পুলিশের তুলে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে ডিএমআরসি। আটক করা হয়েছে ওই ছ'জনকে। জানা গিয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা রেল যাত্রী। মেট্রো রেল স্টেশনের মধ্যে কোনওপ্রকার প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, জমায়েত, মিছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
হিংসার বহু ভুয়ো ভিডিও ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, রুখতে কড়া পদক্ষেপ দিল্লি সরকারের
শনিবার সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ ঘটেছে এই ঘটনা। সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের এক সাংবাদিক ঘটনাস্থলে ছিলেন। তাঁর বয়ান মোতাবেক, "রাজীব চক স্টেশনে ট্রেন থামার মুহূর্তে তোলা হয়েছিল ওই স্লোগান। ট্রেন থেকে নেমেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে গদ্দারদের গুলি চালানোর স্লোগান তুলতে থাকে ওরা ছ'জন।" সাংবাদিকের দাবি, "অভিযুক্তদের তোলা স্লোগানের সারমর্ম ছিল, দেশের যুব সমাজ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ'র পক্ষে।" প্রায় চার দিন ধরে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে চলেছে সংঘর্ষ, তাণ্ডব। সেই সংঘর্ষের জেরে মৃত্যু বেড়ে ৪২। প্রায় ৫০০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জাফরাবাদ, মৌজপুর, শিব বিহারের মতো এলাকা। সেই সময়ে ফের উস্কানিমূলক এই স্লোগানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিলে, বিপদ আরও বাড়ত। তাই মেট্রো রেলের তৎপরতার প্রশংসা করেছে নাগরিক সমাজ।
৪ দিন ধরে কেন চলল হিংসা, দিল্লি পুলিশের কল রেকর্ড ঘেঁটে মিলছে সূত্র
এর আগে দিল্লি ভোটের প্রচারে মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের জনসভা থেকে একই স্লোগান উড়ে এসেছিল। এ নিয়ে আদালতের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে ওই মন্ত্রীকে। ভোটের আগে নির্বাচনী প্রচার থেকে দু'দিনের জন্য অনুরাগ ঠাকুরকে দূরে রেখেছিল নির্বাচন কমিশন। একই ভাবে বিজেপি নেতা তথা বিধায়ক অভয় শর্মার সিএএ-পন্থী মিছিলে "গোলি মারো...", স্লোগান উঠেছিল। আদালত সেই মিছিল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল এজলাসে।
(পিটিআই থেকে সংগৃহীত)