করোনা আতঙ্ক গ্রাস করছে গোটা দেশকে। (প্রতীকী)
হাইলাইটস
- দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে
- তবে সুস্থও হয়ে গিয়েছেন অনেকে
- এখনও পর্যন্ত ৩৭ জন সুস্থ হয়েছেন
নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের (Coronavirus) ধাক্কায় গোটা বিশ্বে অতিমারীর প্রকোপে মৃত্যুমিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। ভারতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু পাশাপাশি সুস্থও হয়ে উঠছেন বহু মানুষ। এখনও পর্যন্ত ৩৭ জন ভারতীয় করোনা ভাইরাসকে হারাতে সক্ষম হয়েছেন। আমাদের সংবাদদাতা পরিমল কুমার এমন একজনের সঙ্গে কথা বলেছেন যিনি করোনা ভাইরাসকে পরাস্ত করেছেন। তিনি আগ্রার বাসিন্দা। তাঁর পরিবার গিয়েছিল ইতালি। সেখান থেকেই তাঁর শরীরে সংক্রমণ ঘটে। ৭ মার্চ জানা যায় তাঁর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা। ৮ মার্চ সফদরজংয়ে ভর্তি হন। ১৯ মার্চ তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
করোনার মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নিয়ম মেনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক
কেমন ছিল সেই মুহূর্ত যখন প্রথম জানতে পারলেন তাঁর শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে? ওই ব্যক্তি জানাচ্ছেন, রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে জানার পর তিনি প্রবল ভয় পেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ভয়কে জয় করেন। উপরে ঈশ্বর রয়েছেন। আর এখানে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও হাউসকিপিং কর্মী। এই কথা ভেবেই তিনি মনের জোর পান। তাঁর মতে, আইসোলেশন এই সময় দারুণ ভাবে দরকার। এই সময় কারও সঙ্গে দেখা করা যায় না। পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলে সময় কাটত।
পুরোপুরি লকডাউন, করোনার সঙ্গে যুঝতে ২১ দিন বাড়ির চৌকাঠ পেরোবেন না: প্রধানমন্ত্রী মোদি
করোনার কবল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলেন, ভয় পাওয়ার কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও দরকার নেই। যদি করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তা হলে চিকিৎসকের কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলতে হবে। পরীক্ষা থেকেও ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
আপাতত ঘরেই কোয়ারান্টাইন হয়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। করোনাকে হারানোর পরেও তাঁকে আপাতত বিচ্ছিন্নই থাকতে বলা হয়েছে।