এবছরের গুগল থিম 'যখন আমি বড় হব...'
নয়া দিল্লি: রবি ঠাকুরের সেই কবিতার খোকার চোখে একরাশ স্বপ্ন, 'হয়েছি আমার বাবার মতো বড়...'! সেই স্বপ্নকে সমস্ত আগামী প্রজন্মের চোখে যাতে ছড়িয়ে পড়ে সেই স্বপ্ন দেখতেন ভারতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু (Jawahar Lal Nehru)। শিশুরা তাঁর কাছে গোলাপ ফুলের মতোই সুন্দর, আদরের। তাই ১৪ নভেম্বর ( November 14) তাঁর জন্মদিন দেশজুড়ে পালিত হয় "শিশুদিবস " (Children's Day) হিসেবে। কবির চাওয়া, চাচা নেহরুর স্বপ্ন--- আজকের এই বিশেষ দিনে গুগলের ডুডলে ধরা দিয়েছে "Walking Trees" রূপে। কারণ, শিশুর অন্তরে যে শিশুর পিতা ঘুমিয়ে সে-ই তো আগামী দিনে মহীরূহে পরিণত হয়ে ছায়া দেবে সমাজকে। ধরে রাখবে দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতি।
Viral: ভোরে স্কুলে যেতে অনীহা, ছোট্ট মেয়ের দাবি, ‘‘মোদিজিকে একবার তো হারাতেই হবে'
১৮৮৯ সালে জন্ম ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর। ছোটদের এতই ভালোবাসতেন যে অনেক ছবিতে দেখা গেছে, শিশুমহলের তিনিই মধ্যমণি। তাঁর অনেক চাওয়ার অন্যতম, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। তাই তাদের লালন করতে হবে অনেক বেশি যত্ন নিয়ে। চাচা-র সেই চাওয়াকে সম্মান দিতেই বৃহস্পতিবারের এই ডুডল এঁকেছে গুরগাঁওয়ের এক শিক্ষার্থী দিব্যাংশী সিংঘল। খুদে পড়ুয়ার চোখে 'দেশের ভবিষ্যত' একটি গাছের সমান। যে আগামী দিনে সমাজকে রক্ষা করবে ধ্বংসের হাত থেকে। প্রসঙ্গত, গত ১০ বছর ধরে গুগলের অভিনব অনুসন্ধান, দেশের বিশষ দিনের উদযাপনে ডুডল তৈরি হবে দিব্যাংশীর মতো ছাত্র-ছাত্রীদের হাত দিয়ে। এবছর শিশুদিবসের থিম, "হব যখন বড়..."। পাশাপাশি গুগলের আন্তরিক প্রচেষ্টা, ডুডলের মাধ্যমে যেন ছড়িয়ে পড়ে আগামী প্রজন্মের খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান-শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা।
"না বলাটা আরো শক্তিশালী বলা": অযোধ্যা রায়ের দিন “না বলা” কবিতা লিখলেন মমতা
আজ দেশজুড়ে সমস্ত স্কুলে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে, তাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রকল্প। প্রসঙ্গত, এর আগে জাতিসংঘের সঙ্গে একসঙ্গে ভারতও 'শিশুদিবস' পালন করত ২০ নভেম্বর। ১৯৬৪-তে 'চাচা' নেহরুর মৃত্যুর পর শিশুদের প্রতি তাঁর ভালোবাসাকে সম্মান জানাতে সংসদে দিন বদলে শিশুদিবস নির্ধারিত হয় ১৪ নভেম্বর। জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনে।