Google Doodle On Moon Landing: ৫০ বছর আগে নাসার অ্যাপোলো ১১ চাঁদে প্রথম পা রাখে
৫০ বছর আগের কথা (Fifty years ago)। ১৯৬৯ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিল নাসার (NASA) অ্যাপোলো 11 (Apollo 11)। তার আগে পর্যন্ত চাঁদ ছিল মানুষের কাছে শুধুই কল্পনার জগত। এরপর ৪ লক্ষ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞের অক্লান্ত পরিশ্রমে অ্যাপোলো 11 সফল উড়ান দিয়েছিল ওই বছরেই। কল্পনার চাঁদ বাস্তব হয়ে ধরা দিল মানব সভ্যতার কাছে। গতকাল থেকে সেই সুবর্ণজয়ন্তী (50th anniversary) পালন করছে গুগল (Google Doodle)। তার ডুডলের মাধ্যমে। সেদিন মগাকাশে পাড়ি দিতে নাসা বেছে নিয়েছিল তিনজনকে--- নীল আর্মস্ট্রং, এডউইন অলড্রিন আর মাইকেল কলিনসকে। পরে ভূগোল পড়তে গিয়ে আমরা গর্বের সঙ্গে পড়েছি, চাঁদের বুকে প্রথম পা রাখা এই তিন মহাকাশচারীর নাম। অনেকেই হয়ত জানেন না, এরপর নাসা'র ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সেই ভয়াবহতা এবং চ্যালেঞ্জ নিয়েই গুগল ডুডলে (Google Doodle) মনকাড়া ভিডিও 'দ্যাটস ওয়ান স্মল স্টেপ'।
ভিডিওতে দেখতে পাবেন মাইকেল কলিন্স ছিলেন সেই চন্দ্রাভিযানের কমান্ড মডিউল পাইলট। নীল আর্মস্ট্রং এবং এডউইন অলড্রিনের চাঁদের বুকে পা রাখার পর থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত সমস্ত অভিযান ধরা রয়েছে ভিডিওতে।
মহাকাশচারীরা প্রথমে চাঁদের চারপাশে একটি কক্ষপথ ধরে প্রদক্ষিণ করার পর "ঈগল" নামক চন্দ্র মডিউলে করে ১৩-মিনিটের একটি সফরের পর চাঁদের বুকে পা রাখেন।
সেই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ঘটেছিল দুটি যান্ত্রিক গোলযোগ। এক, বেতার তরঙ্গে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছিলেন নীল আর এডুইন। ফলে, কম্পরিউটারে তখন অজানা হিজিবিজি কোড শো করছিল। দুই, জ্বালানির ভাঁড়ারে টান ধরেছিল। যদিও এই দুই প্রতিকূলতা কাটিয়ে ২০ জুলাই সফল ভাবেই দুই নভোশ্চর পা রাখেন চাঁদে। প্রথম পা রেখে ইতিহাস গড়েছিলেন নীল। ডুডল যাকে বলেছে, ছোট্ট একটা পদক্ষেপ সফল ইতিহাস লিখল মানব সভ্যতার ।
প্রথমবার উৎক্ষেপণে ব্যর্থ হলেও ২২ জুলাই ফের মহাকাশে রওনা হবে চন্দ্রযান-২
ওই বছরেরই ২৫ জুলাই তিন মহাকাশচারী সফল অভিযান সেরে আবার ফিরে এসেছিলেন নিজেদের চেনা দুনিয়ায়।
ফ্রিজের শুকনো খাবার থেকে ক্যাট স্ক্যান, কিছুই সম্ভব হত না যদি নাসার অ্যাপোলো ১১ না থাকত।
গুগলের ডুডল তাই শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে তিন মহাকাশচারী, নাসা, অ্যাপোলো ১১ আর সেই চার লক্ষ প্রযুক্তিবিদ আর জোর্তিবিজ্ঞানীদের। যাঁরা ৫০ বছর আগে অক্লান্ত পরিশ্রম, সমস্ত অবসর, নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের বিনিময়ে সফল করেছিলেন চাঁদকে জয় করার স্বপ্ন।