বেঁচে থাকলে আজ তিনি শতবর্ষ ছুঁতেন। তিনি না থাকলেও ডুডলের (Google Doodle) মাধ্যমে ১০০ তম জন্মদিনে আজ পাঞ্জাবি লেখক অমৃতা প্রীতমকে (Amrita Pritam) স্মরণ করল গুগল। তখনও দেশে রাজত্ব ছিল ব্রিটিশ শাসকদের। সেই সময় পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালায় জন্ম হয় অমৃতার। লেখিকার আত্মজীবনী 'কালা গুলাব'কে অনুসরণ করেই অমৃতার জীবনী ডুডলে বানিয়েছে গুগুল (google)। এই আত্মজীবনীতে রয়েছে অমৃতার জীবনের এমন অনেক না জানা অধ্যায়, যা আজ সামনে আনল গুগল। এখানে সেই সময়ের এক নারীর মুখে তাঁর জীবনের পাশাপাশি তাঁর জীবনের ভালোবাসা, বিয়ে নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
একটি বিশেষ ডুডল তৈরি করে ভারতকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানাল গুগল
তখন সবেমাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই সময় দেশভাগের সেই যন্ত্রণা, স্বাধীনতার সেই আনন্দ মাত্র ১৬ বছর বয়সেই লেখিকা কবিতা "আজ় আখানের ওয়ারিস শাহ অনু"র মধ্যে দিয়ে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। নিজের কথা ছাপার অক্ষরে প্রথম প্রকাশ করেছিলেন। এই কবিতার অনুপ্রেরণা তিনি পেয়েছিলেন আঠের শতকের সুফি কবি ওয়ারিশ শাহ-র "আই কল আপ অন ওয়ারিশ শাহ টুডে" থেকে।
বিশ শতকের এই পাঞ্জাবি কবি ও লেখিকা 'পিঞ্জরা' সহ মোট ২৮টি জনপ্রিয় উপন্যাসের সৃষ্টিকর্তা। দেশভাগের অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা 'পিঞ্জরা' নিয়ে পরে সিনেমা বানানো হয়। দেশভাগের পরে অমৃতা প্রীতম চলে যান পাকিস্তানে। পাঞ্জাবি ভাষার পাশাপাশি তিনি হিন্দি ও উর্দুতেও অনেক কবিতা-উপন্যায় লিখেছেন। অল-ইন্ডিয়া রেডিওর হয়েও কাজ করেছেন অমৃতা। সম্পাদনা করেছেন 'নাগমণি' সাহিত্য পত্রিকা।
Google Doodle: দেশের প্রথম মহিলা বিধায়ক মুক্তালক্ষ্মী রেড্ডির জন্মদিনে বিশেষ শ্রদ্ধা গুগলের
১৯৮৬-তে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন অমৃতা প্রীতম।
প্রায় ছয় দশকের সাহিত্য জীবনে অমৃতা প্রীতম ১৯৮১ সালে জ্ঞানপীঠ সাহিত্য পুরস্কার সহ অনেক সম্মান পেয়েছেন। ২০০৫ সালে তিনি সম্মানিত হন পদ্মবিভূষণ সম্মানে। ২০০৫-এই তাঁর লেখা উপন্যাস অনুদিত হয় ফরাসি ভাষায়। অনুবাদ গ্রন্থের নাম 'দ্য স্কেলেটন'। এই উপন্যাসের জন্য তিনি ফরাসি সম্মান 'লা লা রুট দেস ইন্দেস' সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিল।