This Article is From Mar 20, 2020

নিয়ম মেনে হাত ধুলেই কমে রোগ সংক্রমণ! ১৭৩ বছর আগেই শিখিয়েছিলেন বিজ্ঞানী সেমেলওয়েজ

জার্মানি ও হাঙ্গেরি তাঁকে চিনত মায়েদের রক্ষক হিসেবে। সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মায়েদের কী করা উচিত, তার টোটকা দিয়েছিলেন সেমেলওয়েজ।

নিয়ম মেনে হাত ধুলেই কমে রোগ সংক্রমণ! ১৭৩ বছর আগেই শিখিয়েছিলেন বিজ্ঞানী সেমেলওয়েজ

১৮১৮ সালে জন্ম এই চিকিৎসকের, সে সময়ে প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

সালটা ১৮৪৭। ততটা উন্নত নয় চিকিৎসাশাস্ত্র। কিন্তু মানব দেহে রোগ-ব্যাধি লেগেই ছিল। তাই কী করণীয়? গোটা ইউরোপে (Europe) যখন এই উদ্বেগ, উপায় বাতলে ছিলেন এক চিকিৎসক, বিজ্ঞানী ইগনাজ সেমেলওয়েজ (Germany-Hungarian Scientist)। জার্মানি ও হাঙ্গেরি তাঁকে চিনত মায়েদের রক্ষক হিসেবে (Saviour of Mothers)। অর্থাৎ সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন মায়েদের কী করা উচিত, তার টোটকা দিয়েছিলেন সেমেলওয়েজ। কী সেই টোটকা? তিনি ঘরে ঘরে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন, মানুষের সব রোগের উৎস হাত। তাই সেটা সর্বদা পরিচ্ছন্ন (Hand washing) রাখা উচিত। প্রয়োজনে পরিষ্কার রাখুন আপনার চারপাশ। তাই সময়ে-অসময়ে হাত জল দিয়ে ধুতে থাকুন। যা জীবাণু-প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করবে। জলের সঙ্গে ধুয়ে বেরিয়ে যাবে হাতের ময়লা, ধুলো-বালি জীবাণু। রুখে দেওয়া যাবে জীবাণু সংক্রমণ। সে সময় এই টোটকা দৈনিক স্বাস্থ্যবিধি হিসেবে মেনে চলত জার্মানি ও হাঙ্গারি ও পূর্ব ইউরোপের অন্য দেশ। যার জেরে অনেকটা কমানো গিয়েছিল জীবাণু সংক্রমণ। এভাবেই উনবিংশ শতকে সেমেলওয়েজ হয়ে উঠেছিলেন প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ (Antiseptic Specialist)।   

৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার-কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়

গুগল বলছে, ১৮১৮ সালে জন্ম নেওয়া এই চিকিৎসককে বিশ্বের প্রাচীন প্রতিষেধক বিশেষজ্ঞ বলা যেতে পারে। প্রায় দুই শতক পর সেই হাত ধোয়ার বিধি বিশ্বের প্রতি ঘরে লাগু করেছে হু। নেপথ্যে করোনা সংক্রমণ। গবেষকরা বলছেন, এই ভাইরাস দমনের কোনও প্রতিষেধক এখনও বেরোয়নি। কোভিড-১৯-কে দমন করতে পারবে একমাত্র পরিচ্ছন্ন হাত। তাই যত বেশি সম্ভব হাত ধুতে থাকুন আর আপনার চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। ফলে এখন উন্নত চিকিৎসাশাস্ত্রের যুগেও বেশ প্রাসঙ্গিক  সেমেলওয়েজ। সে সময় নবজাতকদের মধ্যে পুয়েরপেরাল জ্বর বেশ উদ্বেগের কারণ ছিল। হঠাৎ করে সেই জ্বর জাঁকিয়ে বসত নবজাতকদের দেহ। কেন?এর উত্তর বার করে টোটকা দিয়েছিলেন সেই সেমেলওয়েজ। তিনি গবেষণা করে দেখেছিলেন, ঘন ঘন হাত ধুলে এই জ্বরের জীবাণুকে দমন করে রাখা সম্ভব। যে পরিবার যত বেশি স্বাস্থ্যসচেতন, সেই পরিবারের রোগ সংক্রমণ কম। গবেষণা করে দাবি করেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, দৈনন্দিন জীবনে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধিগুলো মানলেই রোগ-ব্যাধি আপনার থেকে দূরে থাকবে। 

আস্থা ভোটের আগেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কমল নাথ

সেই গবেষণার ওপর ভিত্তি করেই ভিয়েনা জেনারেল হাসপাতালকে এই হাত ধোয়া টোটকা প্রয়োগ করতে বলেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছিল সেই টোটকা, পরামর্শ হিসেবে রোগীদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পর থেকে অনেক কমেছিল জীবাণু সংক্রমণ। সেই গবেষণাসিদ্ধ তথ্য সেমেলওয়েজ; "ইডিওলজি, কনসেপ্ট অ্যান্ড প্রোফিলেক্সিস অফ চাইল্ড বার্থ ফিভার" নাম দিয়ে বই আকারে প্রকাশ করেছিলেন। এরপর যখন ক্রমে চিকিৎসা শাস্ত্র বাড়তে থাকে, তখন এই হাত ধোয়া টোটকা নিয়ে হাসাহসি শুরু হয়। খারিজ করা হয় তাঁর তত্ত্ব। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে তাঁকে ভিয়েনার হাসপাতাল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ভিয়েনা ছেড়ে বুদাপেস্টে আশ্রয় নিতে বাধ্য করা হয়েছিল । সেই মানসিক ও সামাজিক চাপ সহ্য করতে না পেরে ১৮৬৫ সালে স্নায়ুজনিত অসুখে ভুগে মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তাঁকে মানসিক কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তার ১৪ দিন পরে সেই কারাগারেই মৃত্যু হয় সেমেলওয়েজের। 



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)

.