অস্কার স্ক্লেমারের জন্মদিনে গুগল ডুডলের শ্রদ্ধার্ঘ
New Delhi: জার্মান চিত্রকর, ভাস্কর এবং কোরিওগ্রাফার অস্কার স্ক্লেমারের 130 তম জন্মদিন আজ। 1900 সালের সময় থেকে শিল্পের (বলা ভালো ভিজ্যুয়াল আর্টস) জগতে যে অদ্ভুত সব পরীক্ষানিরীক্ষা করে গিয়েছেন অস্কার সেই কাজের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই জন্মবার্ষিকী স্মরণে গুগল তাঁদের নিজস্ব ডুডল তৈরি করেছে। অন্যধারার এই শিল্পীর সবচেয়ে বিখ্যাত কাজ "ট্রায়াডিস্কেস ব্যালে”। এই কোরিওগ্রাফিতে অভিনেতাদের স্বাভাবিক চেহারাকে জ্যামিতিক আকারে পরিবর্তিত করেছিলেন তিনি। এছাড়াও স্লট নৃত্য ও ট্রেপেনউইটজ কোরিওগ্রাফ করার সময় দৃশ্যাবলীর সঙ্গে মানিয়ে অভিনেতাদের জীবন্ত ভাষ্কর্য বানিয়ে তুলেছিলেন অস্কার।
গুগলের ডুডলটিও এই বিষয়টিকেই মাথায় রেখে তৈরি। গুগল এই শ্রদ্ধার্ঘে তিন নর্তকী, 12 টি নানান ভঙ্গিমা এবং 18 টি কস্টিউম নিয়ে শরীর এবং স্পেস ধারণা নিয়ে অস্কার যা কাজ করে গিয়েছেন তাই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। জার্মান এই শিল্পীর সমস্ত কাজই 'শৈল্পিক আধিবিদ্যক গণিত" অথবা "ফর্ম এবং রঙের খেলা" বলেই বিবেচিত। গুগলের এই ডুডলে ব্যালের কোরিওগ্রাফিতে ব্যবহৃত যান্ত্রিক গঠন আর ধাতব মুখোশের দিকটিও তুলে ধরা হয়েছে।
তৎকালীন প্রগতিশীল বা হাউস আন্দোলনের জন্যও অস্কারের এই শিল্প ধারণা ছিল বেশ জটিল এবং চ্যালেঞ্জিংও। 1919 থেকে 1933 সাল পর্যন্ত চলেছিল ভাষ্কর্য এবং চিত্র বিষয়ক জার্মান শিল্প ঘরানার এই বাহাউস আন্দোলন। অস্কারের কাজ ব্যাপকভাবে উভয় জার্মানিতে এবং দেশের বাইরেও প্রদর্শিত হয়।
তাঁর কাজ বস্তুর বিশুদ্ধ বিমূর্ততার শিল্প নয়, বরং তাঁর বিভিন্ন কাজে তিনি বিমূর্ততাকে প্রত্যাখ্যানই করেছিলেন। পরিবর্তে, মানুষের অবয়বের একটা ধারণা, মানুষের শারীরিক কাঠামোকে চিত্র নির্মাণে যথেষ্ট গুরুত্ব দিতেন অস্কার। শরীরকেই তিনি স্থাপত্য ফর্ম হিসাবে ব্যবহার করেছেন। শরীরের বিভঙ্গের মধ্যেই খুঁজেছেন উত্তল, অবতল এবং সমতল পৃষ্ঠতলের নানান ব্যবহার। অস্কারের শিল্প তত্ত্ব সারা বিশ্বেই ব্যপকভাবে পঠিত।
1943 সালে বাডেন বাডেনে মারা যান অস্কার।