গুগলের স্মরণ মেরি সোমারভিলার কীর্তিকে
হাইলাইটস
- মেরি সোমানভিলার প্রথম নিবন্ধ আজ বইয়ের আকারে বের হয়
- মেরি ছিলেন বিজ্ঞান লেখক
- ২০১৬-য় তাঁর নামে মেডেল ও পুরস্কার চালু হয়
নয়া দিল্লি: ১৮২৬ সালের আজকের দিনে স্কটিশ বিজ্ঞান সাহিত্যিক Mary Somerville-র পদার্থবিজ্ঞানের ওপর লেখা একটি নিবন্ধ আমেরিকার লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে পাঠ করা হয়েছিল। বিশ্বের প্রাচীনতম বিজ্ঞান প্রকাশনী হিসেবে আজকের দিনটিকে তাই সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করছে গুগল। তার ডুডলের মাধ্যমে। ইতিহাস বলছে, এই নিবন্ধই মেরির প্রথম নিবন্ধ হিসেবে কাগজে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল।
"লিপস্টিক ঠোঁটে ক্যান্সারের লড়াই": এক সাহসিনীর গল্পে Sabyasachi Mukherjee
১৭৯০-এর ২৬ ডিসেম্বর স্কটল্যান্ডের জেডবার্গে জন্মেছিলেন মেরি। বরাবরে শান্ত স্বভাবের মেরি ছোটবেলায় মাকে বাড়ির চারপাশে কাজে সাহায্যের পাশাপাশি বাড়ির বাগানে বসে প্রকৃতি দেখতে ভীষণ ভালোবাসতেন। মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবা তাঁকে ভর্তি করে দেন বোর্ডিং স্কুলে।
স্কুলের আঁকার শিক্ষিকার কাছে মেরি প্রথম জেনেছিলেন, কীভাবে ছবির মৌলিক বিষয়গুলি ইউক্লিডের জ্যামিতির উপাদান হিসেবে ফিরে পাওয়া যায়। এরপরেই সোমারভিল জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং গণিত নিয়ে পড়াশোনায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বছরের পর বছর গবেষণার পরে তিনি তাঁর বৈজ্ঞানিক তথ্য, জ্ঞান সম্বলিত নিবন্ধ বইয়ের আকারে প্রকাশ করেন।
'বিবিধের মাঝে মিলন মহান', ৭১ তম Republic Day-র ডুডলে
১৮৩১ সালে, মেরি সোমারভিলির লেখা ‘দ্য মেকানিজম অফ দ্য হেভেনস' সৌরজগত সম্বন্ধে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য পেশ করে। এই প্রবন্ধটিই পরে যুগান্তকারী বই, ‘দ্য কানেকশন অফ দ্য ফিজিক্যাল সায়েন্স' নামে প্রকাশিত হয়ে বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল। এটি ১৯ শতকের বেস্ট সেলার এবং সেই সময়ের বিজ্ঞানের বইগুলির মধ্যে সেরা। বিজ্ঞানের পাশাপাশি তিনি নারী-পুরুষের সমানাধিকারেও বিশ্বাসী ছিলেন। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি মহিলা ভোটারের স্বপক্ষে প্রথম স্বাক্ষর করেছিলেন। ২০১৬-য় ইনস্টিটিউট অফ ফিজিক্স সোমারভিলের উদ্ভাবনী চিন্তাকে সম্মানিত করে তাঁর নামে মেডেল এবং পুরস্কার চালু করে।
Click for more
trending news