தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Apr 23, 2019

এবার মশা মারবে গুগল! মশার বংশ বৃদ্ধি রুখতে কোন কামান দাগছে গুগল?

পুরুষ মশাগুলি ওলবাখিয়া (Wolbachia) নামের ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রামিত, যা স্ত্রী মশার শরীরে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে।

Advertisement
অফবিট

ডিবাগ প্রকল্পের (Debug Project) লক্ষ্য পৃথিবীকে মশার কবল থেকে রক্ষা করা

একটা মাত্র মশা, দু হাতের একটা হাততালিতে যে হামেশাই প্রাণ হারায় সেই মশা নাকি সারা বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড খুনি! মশা অন্যান্য যে কোনও প্রাণির তুলনায় সবথেকে বেশি মানুষকে মৃত্যুর মুখে ফেলে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতি বছর ১০ লাখেরও বেশি মৃত্যুর কারণ হল মশার কামড়। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, হলুদ জ্বর এবং চিকুনগুনিয়া রোগের কারণে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছে, এবং এই সব রোগই মশাবাহিত। সম্প্রতি মশা নির্মূল করার একটি অদ্ভুত পরিকল্পনায় ঠিক করা হয়েছে, মশার আরও প্রজনন ঘটাতে হবে। গুগলের অন্যতম উপাদান (Google's parent compant) আলফাবেট (Alphabet) সম্প্রতি এমন আজব কর্মপদ্ধতিই ঠিক করছে।

 World Book Day 2019: বইয়ের জন্য একটা দিন, একটা জীবন, এবং অনেক লড়াইয়ের ইতিহাস

আলফাবেট পরিচালিত একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ২০১৭ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেস্নোতে মশার বংশ ধ্বংশ করার জন্য একটি প্রকল্প শুরু করেছিল। ‘ডিবাগ প্রজেক্ট' (Debug Project) নামের এই প্রকল্পে ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি গবেষণাগারে মশার উৎপাদন শুরু হয়েছে। এই পুরুষ মশাগুলি ওলবাখিয়া (Wolbachia) নামের ব্যাকটেরিয়ায় সংক্রামিত, যা স্ত্রী মশার শরীরে বন্ধ্যাত্ব সৃষ্টি করে। এই ব্যাকটেরিয়া আক্রান্ত পুরুষ মশাগুলিকে স্ত্রী মশার সঙ্গে সঙ্গম করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। ফলত স্ত্রী মশারা বন্ধ্যা হয়ে যায় এবং মশার বংশবৃদ্ধি আস্তে আস্তে কমে আসে।

Advertisement

এই পরীক্ষা বাস্তবে কতটা সফল হয়েছে? ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে, ডিবাগ ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেস্নোতে ১৫ মিলিয়নেরও বেশি সংক্রামিত মশার জন্ম দিয়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছে। এর ফলে স্ত্রী মশার জনসংখ্যা দুই তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে! প্রকল্পটি গড়ে মশার জনসংখ্যা প্রায় ৯৫% হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছিল।

 ‘আনন্দিততম শহর' ডেনমার্ক, তার খুশির জিওনকাঠি কী?

Advertisement

ডিবাগ (Debug Project) তাঁদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, “ডিবাগ শুরুটা ভালোই করেছে, কিন্তু এখনও অনেক কিছু বাকি আছে। আমরা বেশ কিছু কমিউনিটির সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ, যাতে ডিবাগ এই পদ্ধতিতে মশার জনসংখ্যা ও রোগীদের উপর প্রকৃত প্রভাব ফেলতে পারে। আশা করি,  লক্ষ লক্ষ মানুষ দীর্ঘতর, সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করতে পারব আমরা।"

Advertisement