This Article is From Jun 30, 2018

"গোরখনাথ ও কবীরের বয়সের ব্যবধান চার শতাব্দীর বেশি", মোদিকে শুধরে দিলেন আরজেডি নেতা

শিবানন্দ তিওয়ারি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন ইতিহাস বানানোর দিকে যে বিপজ্জনক ঝোঁক, সেখান থেকে তাঁর এবার সরে আসা উচিত।

সন্ত কবীরের জন্মস্থান মঘরকেই 2019 সালের লোকসভার প্রচারের জন্য বেছে নিয়েছিলেন মোদি

হাইলাইটস

  • মোদি বলেন, গুরুনানক, কবীর ও গোরখনাথ একসঙ্গে আলোচনা করতেন
  • কবীরের থেকে চার শতাব্দী আগে জন্ম গোরখনাথের: আরজেডি নেতা
  • কবীরের থেকে কয়েক দশকের ছোটো গুরুনানক, বলেন ওই নেতা
পাটনা:

লালুপ্রসাদ যাদবের দল আরজেডির এক নেতা গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র ভর্ৎসনায় ভরিয়ে দেন। সন্ত কবীরের স্মরণে হওয়া একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সেখানে বক্তব্য পেশ করার সময় মোদি বলেন গুরু নানক এবং সন্ত গোরখনাথের সঙ্গে একসঙ্গে বসে সন্ত কবীর আধ্যাত্মিকতা নিয়ে আলোচনা করতেন। ঠিক এই জায়গাতেই আপত্তি ওই রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতার। “উত্তরপ্রদেশের মঘরে সন্ত কবীরের স্মরণে হওয়া একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া একটি বক্তৃতার ভিডিওতে পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে, তিনি বলছেন, এই হল সেই স্থান যেখানে সন্ত কবীর, গুরু নানক দেব এবং সন্ত গোরখনাথ একসঙ্গে বসে আধ্যাত্মিক আলোচনা করতেন”, রাষ্ট্রীয় জনতা দলের নেতা শিবানন্দ তিওয়ারি এই কথা বলেন প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে।

“প্রধানমন্ত্রী আমাদের নিজেই বলুন যে এটা ঠিক কীভাবে সম্ভব। সন্ত গোরখনাথের জন্ম একাদশ শতকে। তাঁর অন্তত চারশো বছর পর জন্ম হয় সন্ত কবীরের।  গুরু নানক কবীরের থেকে বয়সে কয়েক দশকের ছোটো ছিলেন। এবং, তাঁদের সাক্ষাতের কথা ইতিহাসের বই অথবা সাধারণ মানুষের বিশ্বাস- কোথাওই স্থান পায়নি কখনও”। বলেন তিনি।

শিবানন্দ তিওয়ারি বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন ইতিহাস বানানোর দিকে যে বিপজ্জনক ঝোঁক, সেখান থেকে তাঁর এবার সরে আসা উচিত।  

“এই মুহূর্তে তাঁর পদমর্যাদার দিকে লক্ষ রেখেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বোঝা উচিত এই ধরনের আলটপকা মন্তব্য তাঁর কাছ থেকে আসা মানে তা গোটা দেশের মানুষের পক্ষেই অত্যন্ত বিব্রতকর। এই ধরনের মন্তব্য করা থেকে তাঁর বিরত থাকা উচিত। ভাষণ দেওয়ার সময় ইতিহাসের আশ্রয় নেওয়ার এতই যদি ইচ্ছা থাকে তাঁর, তাহলে, অন্তত একবার তথ্যগুলো ঠিকভাবে পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া ভালো”, বলেন আরজেডি নেতা।

আর এই ইতিহাস নিয়ে পড়ে থাকার থেকেও তাঁর এখন বেশি করে নজর দেওয়া উচিত নিজের প্রতিশ্রুতিগুলোর দিকে। যা তিনি দিলেও তেমনভাবে পালন করতে পারেননি। ওই প্রতিশ্রুতিগুলোকে এখন ‘ফাঁকা আওয়াজ’-এর মতো শোনায়। বলেন শিবানন্দ তিওয়ারি।     

   



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)

.