Nipah Virus: গত বছর এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ গিয়ে ছিল ১৭ জনের
হাইলাইটস
- নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন কেরালার বছর ২৩- এর এক যুবক
- ওই যুবক আপাতত এরনাকুলামের হাসপাতালে ভর্তি
- ইনস্টিটিউট অফ ভিরোলজি তাঁর শরীরে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছ
নিউ দিল্লি: নিপা ভাইরাসে (Nipah Virus) আক্রান্ত হলেন কেরালার বছর ২৩- এর এক যুবক। ওই যুবক আপাতত এরনাকুলামের হাসপাতালে ভর্তি। রক্ত পরীক্ষা করে ইনস্টিটিউট অফ ভিরোলজি(Institute Of Virology) তাঁর শরীরে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেছে। গত বছর এই মারণ ভাইরাসে প্রাণ গিয়ে ছিল ১৭ জনের। আরও চারজন গুরুতর অসুস্থ। এদের মধ্যে দুজন সেবিকাও রয়েছেন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে চারজন নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তার মধ্যে দুজন ওই যুবকের সংস্পর্শে এসেছিলেন। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে কারও আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। সরকার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করে রেখেছে। ওই ব্যক্তির শরীরে নিপা ভাইরাসের(Nipah Virus) উপস্থিতি প্রমাণ হওয়ার আগে থেকেই সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে রাখা হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
শুধু এই পাঁচজন নয় সরকারি সূত্রে খবর আরও ৫২ জনের উপর নজরদারি চলছে। তাদের মধ্যে ২২ জন ছাত্র। এঁদের শরীরেও নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি থাকতে পারে বলে প্রশাসনের অনুমান।
নিপা ভাইরাস পশুর শরীর থেকে মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়। তারপর একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হতে থাকে। প্রাথমিকভাবে জ্বর এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ব্যথা দিয়ে এই রোগের সূত্রপাত হয়। ক্রমশ তা শ্বাসকষ্টের দিকে এগোতে থাকে। নিপা ভাইরাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচুর মানুষের প্রাণ গিয়েছে। সরকারি সূত্রে বলা হচ্ছে ওই ৫২ জনের ১১ জন ভাইরাস আক্রান্ত যুবকের সঙ্গে কেরালার ত্রিশূল বলে একটি জায়গায় ইন্টার্ন করতে গিয়েছিল।
কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা সোমবার জানিয়েছেন, কেউ আতঙ্কিত হবেন না,। রাজ্য প্রশাসন সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে। আমাদের কাছে প্রশিক্ষিত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মী আছেন। কোনও সমস্যা হলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কাদের কাদের এই ধরনের সমস্যা থাকতে পারে তা খুঁজে বার করার কাজও আমরা শুরু করেছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে গত বছর কেরালায় মোট ১৮ জন রোগীর দেহে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছিল। তার মধ্যে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে গতবছরের ১৯মে। তারপর থেকে মোট ২ হাজার ৬০০ জনের উপর নজরদারি চলে এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয় তাদের।