কাশ্মীর উপত্যকা ছেড়ে বাড়ি ফেরার জন্যে হাজার হাজার তীর্থযাত্রী ও পর্যটক উদ্বিগ্ন হয়ে অপেক্ষা করছেন
নয়া দিল্লি: যেভাবে কাশ্মীর উপত্যকায় পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে তাঁদের জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) ছাড়তে বাধ্য করছে কেন্দ্রীয় সরকার, এবার তার নিন্দায় মুখর হতে শোনা গেল বিরোধী দল কংগ্রেসকে (Congress) । গোয়েন্দাদের থেকে অমরনাথ যাত্রার (Amarath Yatra) উপর জঙ্গিহানার আগাম সতর্কবার্তা পেয়ে তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের উপত্যকা (Kashmir) ছাড়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। এই নির্দেশ নিয়েই সরকারকে বিঁধেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। শনিবার শ্রীনগর বিমানবন্দরে ভিড় করেছিলেন কিছু বিদেশি সহ উদ্বিগ্ন পর্যটকরা, অনেকেই বিমানের টিকিট পাননি।অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের নিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়িকে উপত্যকা থেকে বেরিয়ে আসতেও দেখা যায়।
"স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই আদেশে কাশ্মীরের (Kashmir) নাগরিকরা ভয় পেয়েছেন। পর্যটক এবং তীর্থযাত্রীদের কখনই হঠাৎ করে এভাবে চলে যেতে বলা হয়নি ... সরকার বিদ্বেষের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাঁরা বোঝাতে চাইছে যে কাশ্মীর বাইরের লোকদের জন্য নিরাপদ নয়। আমরা সরকারের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করছি", এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন কংগ্রেসের (Congress) প্রবীণ নেতা গুলাম নবি আজাদ।
এই পরামর্শকে কেন্দ্রের অভূতপূর্ব পদক্ষেপ হিসাবে দেখা হচ্ছে কারণ অমরনাথের তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের আগে কখনও এভাবে কাশ্মীর ত্যাগের জন্য অনুরোধ করা হয়নি, এমনকি যে সময় কাশ্মীরে জঙ্গিদের বাড়বাড়ন্ত ছিল, তখনও এমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এদিকে গত এক সপ্তাহ ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় বিশাল সংখ্যক অতিরিক্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে দেখা গেছে।
এবছর অমরনাথ যাত্রায় (Amarath Yatra) অনেক বেশি তীর্থযাত্রী তথা দর্শনার্থী যোগ দিয়েছেন। প্রতিবছরই এই তীর্থযাত্রা উপলক্ষে কাশ্মীরে কয়েক হাজার তীর্থযাত্রী আসে। দ্বিতীয় ছোট তীর্থযাত্রা, জম্মুর মাচাইল মাতা যাত্রাও শনিবার বাতিল করা হয়।
এদিকে স্থানীয় মানুষজনকে শনিবারও এটিএম, খাবার দোকান, পেট্রোল পাম্পগুলিতে ভিড় জমাতে দেখা যায়। কেই বা ব্যস্ত টাকা তুলতে তো কেউ আবার ব্যস্ত খাবার জোগাড় করে রাখতে, কাউকে আবার দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে জ্বালানি সংগ্রহ করে রাখতে দেখা যায়।
শনিবার রাজ্যপাল সত্য পাল মালিকের সাথে দেখা করে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ কাশ্মীর (Kashmir) পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে সংসদে একটি বিবৃতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।