হ্যাক করা WhatsApp ব্যবহারকারীর মোট সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে
ওয়াশিংটন: ফের হ্যাকিংয়ের (WhatsApp Hacking) তথ্য প্রকাশ্যে আসায় ভারত সহ বিশ্ব জুড়ে প্রতিক্রিয়া। চলতি বছরের গোড়াতেই একাধিক মার্কিন-জোটভুক্ত দেশের উর্ধ্বতন সরকারি আধিকারিকদের ফোনের সফটওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করা হয় বলে একটি তথ্য সামনে এসেছে । প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই সব আধিকারিকদের ফোন কব্জা করতে হ্যাকাররা ফেসবুকের হোয়াটসঅ্যাপকে (WhatsApp) মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করেছিল। চুক্তি লঙ্ঘনের বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপের অভ্যন্তরীণ তদন্তের সঙ্গে পরিচিত সূত্রগুলি জানিয়েছে, যাঁদের হোয়াটসঅ্যাপ হ্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে তাঁরা বেশিরভাগই বিশ্বের ২০টি দেশের উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক। আর যে দেশগুলি আক্রমণের লক্ষ্য করা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই আমেরিকার বন্ধু দেশ।
শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের স্মার্টফোনে স্পাইওয়্যার ছড়িয়ে ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টায় রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সুরক্ষিত নয় হোয়াটস অ্যাপও, ভারতীয়দের উপর নজরদারি ইজরায়েলি সংস্থার
মঙ্গলবার ইজরায়েলের হ্যাকিং সরঞ্জাম সরবরাহকারী এনএসও গ্রুপের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপ একটি মামলা করেছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন সফটওয়্যার জায়ান্ট অভিযোগ করেছে যে এনএসও গ্রুপ (NSO Group) একটি হ্যাকিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে এবং বিক্রি করেছে। যার মাধ্যমেই গত ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল, এবং ১০ মে কমপক্ষে ১,৪০০ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সেলফোনগুলি হ্যাক করতে হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানাধীন সার্ভারগুলিতে একটি স্পাইওয়্যার ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
হ্যাক করা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর মোট সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। লন্ডনের মানবাধিকার আইনজীবী, যাঁর হোয়াটসঅ্যাপও আক্রমণের লক্ষ্য ছিল বলে জানা গেছে, তিনি ১ এপ্রিলে কেনা ওই ফোনটি ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন বলে ছবিও পাঠিয়েছিলেন।
আধিকারিকদের ফোন হ্যাক করার জন্য সফ্টওয়্যারটি কে ব্যবহার করেছে তা এখনও পরিষ্কার নয়, এনএসও বলেছে যে তাঁরা নিজেদের স্পাইওয়্যারটি একচেটিয়া সরকারি গ্রাহকদের কাছেই বিক্রি করে। তবে যাঁদের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল তাঁরা বেশিরভাগই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, বাহরিন, মেক্সিকো, পাকিস্তান এবং ভারতের নাগরিক বলে জানা গেছে।
“কঠোর ব্যবস্থা”, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে প্রতিশ্রুতি সরকারের
কিছু ভারতীয় নাগরিক গত কয়েকদিন ধরেই এমন অভিযোগ নিয়ে জনসমক্ষে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন। যাঁরা অভিযোগ করেছিলেন যে তাঁদের ফোনে আড়ি পাতা হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তাঁদের মধ্যে অনেক সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ, আইনজীবি এবং আরও অনেকে ছিলেন।