This Article is From Aug 13, 2019

জীবনহানি রোধেই উপত্যকায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ জারি, পর্যায়ক্রমে উঠে যাবে লাগাম, জানাল সরকার

জম্মু-কাশ্মীরে হিংসার পরিবেশ দূর করতেই আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের (restrictions) পক্ষে কেন্দ্র। এনডিটিভি-কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আমলা বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণ লাঘব করা হচ্ছে।

জীবনহানি রোধেই উপত্যকায় ‘নিয়ন্ত্রণ’ জারি, পর্যায়ক্রমে উঠে যাবে লাগাম, জানাল সরকার

পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণ লাঘব করা হবে। জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ আমলা।

নয়াদিল্লি:

জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) হিংসার পরিবেশ দূর করতেই আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের (restrictions) পক্ষে কেন্দ্র। স্পষ্ট করল মোদি প্রশাসন। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে সরকার। তাই উপত্যকায় ঐতিহাসিক পদক্ষেপের পর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। যা মৃত্যুর চেয়ে ভালো বলেই মনে করছে মোদি সরকার (Modi Govt)। মঙ্গলবার, সরকারি এই মনোভাবের কথা স্পষ্ট হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের (Ministry of Home Affairs) মুখপাত্রের কথায়, পর্যায়ক্রমে এই নিয়ন্ত্রণ শিথিল হবে। এনডিটিভি-কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আমলা বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) পর্যায়ক্রমে নিয়ন্ত্রণ লাঘব করা হচ্ছে। জম্মুর স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে আগের অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।' অবস্থা অনেকটাই স্বাভাবিকের পথে। 

অক্টোবরে ‘বিনিয়োগকারীদের সম্মেলন' আয়োজন করতে নিরাপত্তার কড়া ঘেরাটোপে জম্মু ও কাশ্মীর

উপত্যকা থেকে সংবিধান প্রদত্ত বিশেষ অধিকার ৩৭০ ধারা (Article 370) রদ করেছে কেন্দ্র। জম্মু-কাশ্মীরকে (Jammu and Kashmir) দ্বিখণ্ডিত করে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত কর হচ্ছে। মোদি সরকারের এই ঘোষণার আগে থেকেই অবশ্য কড়া নিরাপত্তাবলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে কাশ্মীরকে। গোটা রাজ্যেই জারি রয়েছে কারফিউ। নিয়ন্ত্রণের আওতায় ভূস্বর্গ। গত ৪ আগস্ট থেকে সেখানে বড় কোন জমায়েতর উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।  

কেন্দ্রীয় পদক্ষেপের পরই উপত্যকার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ ৪০০ রাজনৈতিক কর্মীকে আটক করা হয়েছে। হিসাব বলছে, প্রায় ৫০ হাজার নিরাপত্তা কর্মী কাশ্মীরে মোতায়েন রয়েছে। টেলিফোন থেকে ইন্টারনেট (Internet) পরিষেবা বন্ধ রয়েছে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। এনডিটিভিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আমলা জানান, ‘মানুষের মৃত্যু সরকার চায় না বলেই নিয়ন্ত্রণ জারি রয়েছে। মানুষের সুরক্ষা ও নিরাপত্তাকে আগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।' 

জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি খুবই সংবেদনশীল, সরকারের আরেকটু সময় পাওয়া উচিত: সুপ্রিম কোর্ট

তবে এর আগও ঈদ সহ নানা অনুষ্ঠানে জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে জঙ্গি বুরহান ওয়ানির (Burhan Wani) মৃত্যুর পর কাশ্মীরে রক্ত ঝরেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা প্রায় টানা প্রায় ৬ মাস হরতাল করেছিল। যা দেখে এবার সরকার আগে থেকেই দৃঢ় পদক্ষেপ করেছে। বলছিলেন সরকারি আমলা। কেন্দ্রের রাজ্যভাগ ও দ্বিখণ্ডিত ঘোষণার পর রাজ্যের পরিস্থিতি কি হবে তা কেউ জানত না। তাই পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাওয়ার আগেই এই নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ।  

নিয়ন্ত্রণ শিথিলের আবেদন নিয়ে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ছিল। কোর্ট জানায়, জম্মু কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) পরিস্থিতি ‘সংবেদনশীল' (sensitive)। কিন্তু, রাতারাতি অবস্থার বদল হবে না। কেই জানে না ভবিষ্যতে কি হতে পারে। সরকারের উপর ভরসা করতেই হবে। সরকারকে সময় দিতে হবে।

.