রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে রাজ্য সরকারের মতান্তর বারবার প্রকাশ্যে এসেছে।
হাইলাইটস
- লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যকে আর্জি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের
- তাঁর বক্তব্য, লকডাউন শিথিল হয়েছে রাজ্যের অনেক স্থানে
- তাঁর মতে, এই নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কবার্তা মেনে চলা উচিত রাজ্যের
রাজ্যে লকডাউন (Lockdown) ঠিকমতো মানা হচ্ছে না বলে রাজ্য সরকারকে জানালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যের লকডাউন পরিস্থিতির ক্রমাবনতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রের সতর্কতার কথা বলে রাজ্য যেন তাতে মনোযোগ দেয় বলে আর্জি জানান রাজ্যপাল। তিনি বলেন, এর জন্য যাঁরা যে কর্মীরা দায়ী থাকবেন তাঁদেরও চিহ্নিত করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক গত সপ্তাহে রাজ্যের লকডাউন পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে। সামাজিক দূরত্ব যাতে ঠিকমতো বজায় রাখা হয় তা নিশ্চিত করতে রাজ্যকে কড়া হওয়ার বার্তাও দেওয়া হয়। মুর্শিদাবাদ ও শিলিগুড়িতে এই নিয়ম মানা হচ্ছে না, সেই রিপোর্টের প্রসঙ্গে একথা জানানো হয়।
কঠোর ভাবে লকডাউনের নিয়ম মেনে চলুন, রাজ্যকে ফের চিঠি কেন্দ্রের
এর আগে সরকার কোভিড-১৯-এর মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ করছে সে বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে না হলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল। তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন রাজভবনের সঙ্গে লকডাউনের পরিসমাপ্তি ঘটান।
তিনি তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানাই রাজ ভবনের সঙ্গে লকডাউন শেষ করতে। করোনা অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই করছি আমরা। রাজ্যের স্বার্থে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সতর্কবাণী মেনে অবশ্যই সংশোধন করতে হবে পরিস্থিত। সামাজিক দূরত্ব না মানা ও ধর্মীয় সমাবেশের জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে হবে।''
রাজ্যে আরও বেশি করে হোক কোভিড-১৯ পরীক্ষা, দাবি সূর্যকান্ত মিশ্রর
আরও একটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘বৃহত্তর নজরদারির জন্য লকডাউন সম্প্রসারিত হচ্ছে। করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়তে সকলকে ১০০ শতাংশ দিতে হবে। রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।''
দেশব্যাপী লকডাউনের পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ, রাজ্যের বহু অংশে ধর্মীয় সমাবেশ ও অ-অপরিহার্য সামগ্রীর বিক্রয় জারি রয়েছে। এই অভিযোগের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাব, দেশ কোনও সাম্প্রদায়িক ভাইরাসের সঙ্গে লড়ছে, লড়ছে এক অসুখের সঙ্গে।
শনিবার রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে লকডাউন থাকবে। সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে ১০ জুন পর্যন্ত।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)