সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ গুলি সম্পর্কে সভা কে অবহিত করেন রাজ্যপাল।
হাইলাইটস
- ভাষণ চলার সময় সভার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে
- তাঁদের দাবি রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা করতে হবে
- স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা হবে
কলকাতা: দেশের গণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। বাজেট অধিবেশনের শুরুতে এ কথা বললেন রাজ্যপাল কেশরী নাথ ত্রিপাঠী। আগামী সোমবার রাজ্য বাজেট। তার আগে শুক্রবার অধিবেশনের শুরুতে লিখিত ভাষণ পাঠ করেন রাজ্যপাল। সেই ভাষণে রাজ্যের আর্থিক থেকে শুরু করে সামাজিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বেশ কয়েকটি কথা বলেন তিনি। গত কয়েক বছরের মধ্যে রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ গুলি সম্পর্কে সভা কে অবহিত করেন রাজ্যপাল। তিনি জানান সংবিধানে যে গণতান্ত্রিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর কথা বলা আছে তা অটুট রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর। একই সঙ্গে মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টিকারী শক্তিগুলির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দায়বদ্ধ প্রশাসন। পাশাপাশি আর্থিক বিষয় নিয়েও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। তিনি জানিয়ে দেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার জিএসটি এবং তার আগে লাগু হওয়া নোটবন্দির ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া যে কোনও মূল্যে রাজ্যের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে রাজ্য সরকার যে তৎপর সে কথাও বলেন রাজ্যপাল। তাঁর ভাষণ চলার সময় সভার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কংগ্রেস এবং বাম বিধায়করা স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের দাবি রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা করতে হবে। পরে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান রাজ্যপালের ভাষণের উপর আলোচনা হবে। শাসক ও বিরোধী দলের বিধায়করা নিজেদের বক্তব্য পেশ করার পর জবাবী ভাষণ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি যাতে দল ভাঙাতে না পারে তার জন্য বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে কথা বলবে তৃণমূল নেতৃত্ব
শুধু রাজ্যপাল নয় কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে যুক্ত রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি বলেন, আজ বিজেপি ক্ষমতায় আছে কিন্তু কাল থাকবে না। যুক্ত রাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে দিচ্ছে। রাজ্যের কাজকে বিজেপির নিজের নামে চলছে। আমরা আগেও বলেছি আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে অংশ নেব না। কারণ আমাদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছবি পাঠিয়ে প্রচার হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। গুজবে কান দেবেন না।প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছে, এটা পারে না। কেন্দ্র এমন একটা ভাব করছে যেন রাজ্য কাজ করছে না। মুখ্যমন্ত্রীর কটাক্ষ, এখন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ডেমক্রেসির ডি নেই কিন্তু এমারজেন্সি ই আছে। এটা বাজেট নয় বিজেপির ইস্তেহার।