বাবুল সুপ্রিয় গাড়িতে উঠতে গেলেও তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে (Babul Supriyo) কালো পতাকা দেখানো ও নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) কয়েকজন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (Jagdeep Dhankhar ) খবর পেয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটে যান। প্রসঙ্গত, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। রাজ্যপাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করার আগে জানালেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে এভাবে ‘‘ঘেরাও'' করাটা অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। তিনি বলেন, রাজ্যের মুখ্য সচিবকে তিনি দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এভাবে ঘেরাও করাটা অত্যন্ত গুরুতর ব্যাপার। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতিকূল চেহারাই এতে প্রতিফলিত হচ্ছে।''
রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে, রাজ্যপাল রাজ্যের মুখ্য সচিব মলয় দাসের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন। এবং তাঁকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন।
যাদবপুরে প্রবল বিক্ষোভের সামনে বাবুল সুপ্রিয়, উঠল ‘‘গো ব্যাক'' ধ্বনি
মুখ্য সচিব মলয় দাস রাজ্যপালকে নিশ্চিত করেন যে, শহরের পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিজেপির ছাত্র শাখা এবিভিপি (ABVP) বা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের একটি সেমিনারে যোগ দিতে এসেছিলেন বাবুল। তাঁকে প্রথমে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। দু'টি বাম ছাত্র সংগঠন আর্টস ফ্যাকাল্টি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ও স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার ছাত্রছাত্রীরা প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাবুলকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি।। তারা ‘‘বাবুল সুপ্রিয় গো ব্যাক'' ধ্বনিও দিচ্ছিল। পরে বিকেল পাঁচটা নাগাদ আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর ছাড়ার সময় আবারও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। তাঁর অভিযোগ, পড়ুয়ারা তাঁকে নিগ্রহ করে। এমনকী তাঁর চুল ধরেও টানে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বাবুল বলেন, ‘‘আমি এখানে রাজনীতি করতে আসিনি। কিন্তু আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রছাত্রীর আচরণে দুঃখিত, যেভাবে তাড়া আমাকে নিগ্রহ করেছে। আমাকে ধাক্কা মারা হয়, চুল ধরেও টানা হয়েছে।''
বাবুল আরও দাবি করেন, প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীরা তাঁকে উত্যক্ত করার জন্য নিজেদের ‘নকশাল' বলে পরিচয় দিচ্ছিল। বাবুল সুপ্রিয় গাড়িতে উঠতে গেলেও তাঁকে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)