পড়ুন এই সম্বন্ধিত ১০ টি তথ্য:
কর্নাটক মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপাল (Governor) তাঁর চিঠিতে লেখেন, "১৫ জন বিধায়ক আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আরও ২ জন বিধায়ক তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়ে সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করেছে। এই পরিস্থিতিতে বোঝা যাচ্ছে যে আপনি আস্থা হারিয়েছেন"। পাশাপাশি তিনি চিঠিতে আরও বলেন, কোনও চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই বিধানসভার অধিবেশন স্থগিত করা হয়েছে এবং "এটি ভারতের সংবিধান দ্বারা পরিচালিত গণতান্ত্রিক অবস্থায় করা যায় না।"
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারাস্বামী (HD Kumaraswamy) আস্থা ভোটের প্রস্তাব (Karnataka trust vote) দেন এবং বিজেপি তাঁর সরকারের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও নিজের অভিযোগ করেন তিনি। বিপরীতে বিজেপি নেতা তথা কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা অত্যন্ত দ্রুত এই আস্থা ভোট করানোর দাবি তুললে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া: "বিরোধী দলের নেতা খুব ব্যস্ত বলে মনে হচ্ছে।"
তবে বৃহস্পতিবার দিনের অধিকাংশ সময়ই নষ্ট হয় শ্রীমন্ত পাতিলকে নিয়ে কংগ্রেসের দেখানো বিক্ষোভে, যিনি যে রিসর্টে পদত্যাগী বিধায়করা রয়েছেন সেখান থেকে বেরিয়ে এসে মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
কংগ্রেস অভিযোগ করে যে শ্রীমন্ত পাতিলকে প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের দলে ভিড়তে বাধ্য করে বিজেপি। বিধানসভার অধ্যক্ষ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদ থেকে এম বি পাতিলের পদত্যাগের বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেন।
আস্থা ভোট নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন, বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করেন কংগ্রেস এবং জেডিএস বিধায়করা। এমনকি বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে হুইপ জারি করে তাঁদের বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়ানোর বিষয়টিরও দাবি তোলেন তাঁরা।
কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমার অভিযোগ করেন যে তাঁদের দলের বিধায়কদের “অপহরণ” করে নিয়ে গেছে বিজেপি। “আমি ওই বিজেপি বিধায়কদের বাড়ির লোকের কাছ থেকে ফোন পেয়েছি যে তাঁদের অপহরণ করা হচ্ছে”, বলেন তিনি।
বুধবার, বিদ্রোহী বিধায়কদের ইস্তফা গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে অধ্যক্ষকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ওই সময়েই আদালত একথাও জানায় যে, বিদ্রোহী বিধায়কদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বাধ্য করা যায় না।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে হাতিয়ার করে মুম্বইয়ে বিদ্রোহী বিধায়করা জানান যে তাঁদের ইস্তফা ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে কোনওভাবেই ভাবছেন না তাঁরা। পাশাপাশি বিধানসভার অধিবেশনেও যে তাঁরা যোগ দিচ্ছেন না সেটিও স্পষ্ট করেন তাঁরা। যদিও পরে কংগ্রেসের বিধায়ক রামালিঙ্গা রেড্ডি জানান যে তিনি তাঁর ইস্তফা ফেরানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছেন।
কংগ্রেস-জেডিএস জোট থেকে গত দু'সপ্তাহে মোট ১৬ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেন, যার মধ্যে আছেন ১৩ জন কংগ্রেস বিধায়ক, ৩ জন জেডিএস বিধায়ক। জোট সরকার থেকে নিজেদের সমর্থন তুলে নেন ২ নির্দল বিধায়কও।
২২৪ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্যে ১১৮ টি আসনের প্রয়োজন। ২ জন নির্দল বিধায়কের সমর্থন সহ বিজেপির কাছে বর্তমানে ১০৭ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। ১৫ জন বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হলে শাসক জোটের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ১০১-এ (যদি রামালিঙ্গা রেড্ডি তাঁর ইস্তফা প্রত্যাহার করেন), ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে কুমারাস্বামী সরকার।