Article 370 Jammu and Kashmir: সংসদে প্রতিবাদে মুখর হন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
যেভাবে সংবিধানের ৩৭০ ধারাকে (Article 370) বাতিল করতে পদক্ষেপ করল সরকার তা ‘‘সাংবিধানিক অবৈধতা''। এভাবেই মঙ্গলবার তাদের মত জানাল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। বুঝিয়ে দিল জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' (Special Status)তুলতে যেভাবে পদক্ষেপ করল সরকার, সেই পদ্ধতির বিরুদ্ধে তারা। সোমবার থেকেই ইন্টারনেট ও মোবাইল-ল্যান্ডলাইন ফোন পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে। রাজ্যে কোনও রকম জনসভা ও মিছিলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রবিবার রাত থেকেই নজরবন্দি রাখা হয় ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতির মতো রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের। মঙ্গলবার সংসদে এই নিয়ে প্রতিবাদে মুখর হন তৃণমূলের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন।
তিনি বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের অবশ্যই উচিত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করা। ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে অবশ্যই মুক্তি দেওয়া উচিত। আমরা সব সময় জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষের পাশে রয়েছি।''
‘আমি চিকিৎসক নই'': ফারুক আবদুল্লা সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক বলেন, ‘‘দয়া করে ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতিকে ছেড়ে দিন। জম্মু ও কাশ্মীরের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কাজ করতে দিন। আমরা জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষদের সঙ্গে আছি। আমরা দুই নেতার বিষয়ে উদ্বিগ্ন রয়েছি।''
ডেরেক পরিষ্কার করে বুঝিয়ে দেন তাঁর দল এই নিয়ে কী ভাবছে। তিনি জানান, যেভাবে সংবিধানের ৩৭০ ধারাকে বাতিল করল সরকার তার বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস। তিনি বলেন, ‘‘যেভাবে এটি সংসদে আনা হল, তা সাংবিধানিক অবৈধতা। পদ্ধতিটা নিয়ে আমাদের সমস্যা রয়েছে।''
সংসদে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে বলতে গিয়ে কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেললেন অধীর চৌধুরী
ডেরেক জানান, এবারের অধিবেশনে কাজ হয়েছে। কিন্তু কাজের মান নিয়ে তিনি প্রশ্ন তোলেন। জানিয়ে দেন, মাত্র আঠেরো শতাংশ বিলই সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
সোমবার জম্মু ও কাশ্মীরের ‘স্পেশাল স্ট্যাটাস' তুলে নিতে পদক্ষেপ করেছে সরকার। রাজ্যকে দু'টি স্বশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার বিল পেশ করা হয়েছে।
সোমবার এই বিল পাস হয়ে গিয়েছে রাজ্যসভায়। বহু বিরোধী দলও সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে। এই বিল অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর দু'টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত হবে। একটি জম্মু ও কাশ্মীর, যার আইনসভা থাকবে। অন্যটি লাদাখ, যার কোনও আইনসভা থাকবে না।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)