হাইকোর্টের পুরসভা সংক্রান্ত মামলাগুলি শোনেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়।
কলকাতা: রাজ্য সরকার সম্পর্কে অস্বস্তি মন্তব্য করায়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিলেন সরকারি আইনজীবরা। শুনানির জন্য তিনি এজলাসে পৌঁছাতেই, অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী ভাস্কর বৈশ্য, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়কে জানিয়ে দেন, এখন থেকে তাঁর এজলাসে সওয়াল-জবাব না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি আইনজীবীরা। আইনজীবীদের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জিজ্ঞাসা করেন, তাঁর পদকে তিনি সম্মান জানাচ্ছেন কিনা। বনগাঁ পুরসভায় আস্থা ভোট নিয়ে মামলার শুনানিতে বিচারপতি বলেন, “আমায় মামলা দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি, সরকারি আইনজীবীরা নন। পদের প্রতি সম্মান করুন”। হাইকোর্টের পুরসভা সংক্রান্ত মামলাগুলি শোনেন বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়। গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি পুরসভায় আস্থা ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন তিনি।
সল্টলেকে পুরনিগমের মামলায় অস্বস্তিতে তৃণমূল
এজলাসের বাইরে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তৃণমূলের লিগাল সেলের চেয়ারম্যান ভাস্কর বৈশ্য বলেন, “বিভিন্ন মামলার শুনানিতে যেভাবে, বিচারপতি সরকারি আইনজীবীদের হেনস্থা করছেন, আমাদের পক্ষে তাঁর এজলাস যাওয়া সম্ভব নয়”। তিনি বলেন, বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাস বয়কট করার, তাঁদের সিদ্ধান্ত প্রধানবিচারপতিকে চিঠি লিখে জানানোর জন্য অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে লিখিত অনুরোধ করা হয়েছে সরকারি আইনজীবীদের তরফে।
মেয়রকে নোটিশ পাঠানোর পদ্ধতি নিয়ে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
সোমবার বনগাঁ পুরসভা সংক্রান্ত মামলাসহ অন্যান্য মামলাগুলির শুনানিতেও বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির ছিলেন না সরকারি আইনজীবীরা। ১৫ জুন একটি মামলার শুনানিতে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এটা দুর্ভাগ্যজন যে, জলাধারগুলি ব্যাপকবাবে বুজিয়ে ফেলা হচ্ছে, এবং সরকার এ বিষয়ে কিছুই করছে না। বিচারপতি বলেন, সরকার ছাড়া, সবাই জানে কী হচ্ছে। তাঁর এজলাসে বনগাঁ পুরসভার মামলাটি এলে, বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের।
কলকাতায় অবৈধভাবে বোজানো হচ্ছে জলাধার, শীঘ্রই জলসঙ্কট দেখা দেবে, মন্তব্য হাইকোর্টের
শুক্রবার শুনানির সময়, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যানকে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, বেশীরভাগ কাউন্সিলরই যখন তাঁকে চান না, তখন কেন তিনি পদ আঁকড়ে বসে থাকতে চাইছেন? সোমবার শুনানির সময় উপস্থিত ছিলেন না অ্যাডভোকেট জেনারল কিশোর দত্ত। ১৭ জুলাইয়ের মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবী তিনি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)