অযোধ্যার রামমন্দির ভূমিপুজোর বর্ণাঢ্য আয়োজন, রামলালা দর্শন প্রধানমন্ত্রীর

 বুধবার সকালে বিমানে দিল্লি থেকে লখনউ পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সকাল সাড়ে ১১ টা নাগাদ অযোধ্যা পৌঁছন তিনি। প্রথমে সকাল ১১টা ৪৫ নাগাদ হনুমানগাঢ়হি মন্দিরে পরিদর্শন করেন তিনি। ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রায় ১০ মিনিট ছিলেন তিনি। বেলা ১২টা নাগাদ রামলালার মন্দিরে পৌঁছন তিনি। সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করে গর্ভগৃহে প্রবেশ করেন তিনি। এরপর পুজোয় বসেন। নয়টি শিলার পুজো প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলবে

 ১৯৯০ সালে রামজন্মভূমি আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন ৪০ কেজি রুপোর ইট দিয়ে এই মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করবেন তিনি। এই রামজন্মভূমি আন্দোলন জাতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল বিজেপিকে 

১৬১ ফুট উঁচু এই নির্মাণে তিনটি তল। সোমবার প্রকাশিত নকশায় এমনটাই উল্লেখ

 প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া কমবেশি ১৫০ জন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আমন্ত্রিত উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, আরএসএস প্রধান এবং ইকবাল আনসারি। এই আনসারি অযোধ্যা মামলার অন্যতম আবেদনকারী ছিলেন

  প্রবীণ দুই বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ও মুরলীমনোহর জোশী আমন্ত্রণ পেলেও, তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই পুজো দেখবেন। এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর

১৯৯০ সালে রথযাত্রার মাধ্যমে এই আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। যার সূত্র ধরে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভাঙা পড়ে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ

উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, উমা ভারতী, লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং মুরলীমনোহর জোশী, এই বাবরি ধ্বংস মামলার অন্যতম অভিযুক্ত 

গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট  ২.৭৭ একরের বিতর্কিত জমির মালিকানা মন্দির কমিটিকে দেয়। আর পৃথক পাঁচ একর জমি মসজিদ গড়তে রাজ্য সরকারকে খুঁজে দিতে নির্দেশ দেয় আদালত

 তবে, রীতিমতো তিথি-নক্ষত্র দেখে এদিন ভূমিপুজোর আয়োজন। ইতিমধ্যে পুজো আয়োজন ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক সেবায়েত-সহ ১৭ জন করোনা সংক্রমিত

অযোধ্যার পাশাপাশি প্রায় ১৭৫ জন আধ্যাত্মিক গুরু এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। জানা গিয়েছে, নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে বড় পর্দায় প্রদর্শিত হবে এই অনুষ্ঠান