এটা বোধহয় একজন দাদুর পক্ষেই সম্ভব! লকডাউনের (stay-home order) মধ্যেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের (Michigan) এক দাদু তাঁর নবজাতক নাতনিকে দেখতে ছুটলেন পায়ে হেঁটে। ৬ কিলোমিটার টানা হাঁটার পরেও মুখেচোখ এক ছিঁটে ক্লান্তি নেই! বদলে জানলার বাইরে থেকে নাতনিকে দেখেই আহ্লাদে আটখানা দাদু। পরে সেই খবর, ছবি সোশ্যালে শেয়ার করেন সদ্য বাবা হওয়া জশুয়া গিলেট। ক্যাপশনে লেখেন, "মেয়ে হওয়ার পর প্রথমেই বাবাকে খবর পাঠাই। সঙ্গে বিচ্ছিরি মনখারাপ। বাবা আমার মেয়েকে কোলে নেওয়া দূরঅস্ত, এত দূর এসে দেখবেন কীভাবে!" তারপরেই দাদুর এই কীর্তি! জানালা দিয়ে এক গাল হেসে তিনি তাকিয়ে নাতনি এলিয়ানার দিকে। সবাই ধন্য ধন্য করছেন দাদুকেই।
সিঙাড়া চেয়ে জমাদার হলেন এই মহাশয়! হেল্পলাইনে খাবার অর্ডারের অভিনব শাস্তি
শুধু একদিন নয়, রোজ এভাবেই নাতনিকে দেখতে ৪ মাইল পথ পেরিয়ে আসছেন বৃদ্ধ। জানিয়েছেন জশুয়া। তাঁর কথায়, তাঁর বাবা আসছেন। জানলা দিয়ে হাসিমুখে চেয়ে রয়েছেন নাতনির দিকে। তারপর আস্তে আস্তে ফিরে যাচ্ছেন। কিন্তু কোলে নিতে পারছেন না। এতে তাঁর মনে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু কিছুই করার নেই তাঁর। তিনি নিরুপায়। গিলেট আরও জানিয়েছেন, লকডাউনের আগে বাবা মাত্র দুবার নাতনিকে কোলে নিয়েছিলেন। এখন নাতনির ছবি পাঠানো হয় দাদুকে। আর দাদু সুযোগ পেলেই দেখতে আসেন।
পোস্ট পড়ে এবং ছবি দেখে নেটিজেনদের মজার মন্তব্য, দাদু যদি নাতনির সঙ্গে এভাবে দূর থেকে প্রেম করতে পারেন সামাজিক দূরত্ব মেনে তাহলে সবাই পারবেন! দ্রুত সুস্থতাই এখন সবার কাম্য এবং একমাত্র ল৭্য হওয়া উচিত। দাদুকে দেখে শিখুন সবাই।
বিচ্ছেদেও 'মিলন'? ২০ সঙ্গিনী নিয়ে চারতারা হোটেলে আইসোলেশনে রাজামশাই
অনলাইনে পোস্ট হওয়ার পরেই এই ছবি সাড়ে চার হাজারেরও বেশি 'লাইক' আর এক টন মন্তব্য পেয়েছে। অনেকেই দাদুকে বলেছেন, পৃথিবীর সেরা দাদু। মিষ্টি দাদু। বেশির ভাগ সদ্যজাতকে আশীর্বাদ জানিয়েছেন।
নেই মানুষ! প্রজনন বাড়াতে তাই সমুদ্র সৈকত দখল লাখো কচ্ছপের?
করোন ভাইরাসজনিত কারণে আলাদা বসবাসকারী বহু পরিবারের সদস্য এরকম পোস্ট শেয়ার করেছেন সোশ্যালে। মার্চ মাসে এক নাতনি কাচের জানালা দিয়ে নিজের বাগদানের কথা জানিয়েছিলেন দাদুকে। সেই ছবিও ভাইরাল।