This Article is From Oct 26, 2019

দীপাবলির আগের রাতে জঙ্গি হামলা শ্রীনগরে, গুরুতর আহত ৬

দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ে সারা দেশ যখন আলোকিত তখনই অতর্কিত জঙ্গি হামলায় গুরুতর জখম হলেন সিআরপিএফ-এর (CRPF) ৬ নিরাপত্তী রক্ষী (Six security personnel)।  

দীপাবলির আগের রাতে জঙ্গি হামলা শ্রীনগরে, গুরুতর আহত ৬

গ্রেনেড হামলায় গুরুতর জখম ৬ সিআরপিএফ জওয়ান (প্রতীকী ছবি)

শ্রীনগর:

দীপাবলির আলোর রোশনাইয়ে সারা দেশ যখন আলোকিত তখনই অতর্কিত জঙ্গি হামলায় গুরুতর জখম হলেন সিআরপিএফ-এর (CRPF) ৬ নিরাপত্তী রক্ষী (Six security personnel)।  ঘটনাস্থল কাশ্মীরের শ্রীনগরের করণনগর। খবর, শনিবার সীমান্ত এলাকায় যানবাহনের নাকা চেকিংয়ের সময় নিরাপত্তারক্ষীদের ওপর গ্রেনেড ছোঁড়ে জঙ্গিরা। 

বিজেপির জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়নি, বললেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়

জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ সরানোর দু-মাসের মাথায় এই জঙ্গি হামলা ঘটল বলে সরকারিভাবে জানানো হয়েছে। ৩১ অক্টোবর জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ - আলাদা দুটি অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হবে।  তার জন্যেই এক অঞ্চল থেকে অন্যত্র সেনা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। তখনই ঘটে এই হামলা।

হামলার কথা ছড়িয়ে পড়ামাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, এই নিয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলি ২০১৮ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে ৩২৮ বার জম্মু ও কাশ্মীর নিজেদের দখলে আনতে চেষ্টা করল। এর মধ্যে ১৪৩ বার তারা সফল হয়েছে।  গত এক বছর ধরে এই জঙ্গি-সেনা সংঘর্ষে সেনাবাহিনির গুলিতে খতম হয়েছে ২৫৭ জন জঙ্গি। শহিদ হয়েছেন ৯১ জন জওয়ান। এই পরিসংখ্যান গত পাঁচবছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।

আগামিকাল শপথ নেবেন এম এল খাট্টার, উপ-মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন চৌতালা

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রায় আড়াই দশক ধরে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত লাগোয়া অঞ্চলে। সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষে ১৯৯০ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৪,০২৪ জন। শহিদ হয়েছেন ৫,২৭৩ জন ভারতীয় জওয়ান।

তারপরেও সীমান্তে বন্ধ হয়নি সেনা-জঙ্গি লড়াই। এপ্রসঙ্গে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে চার বছর আগের, অর্থাৎ ২০১৫-র অক্টোবরের কথা। সেবারেও একই ভাবে নাকা চেকিংয়ের সময় অতর্কিতে জঙ্গি হামলা হয়েছিল সেনাদের ওপর।  

.