বিশ্বখ্যাত ‘টাইম’ পত্রিকার প্রচ্ছদে গ্রেটা থানবার্গ
নয়াদিল্লি: পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গকে (Greta Thunberg) ‘টাইম' পত্রিকার ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার ২০১৯' (TIME's 2019 Person Of The Year) ঘোষণা করা হল বুধবার গত কয়েক বছর ধরে গ্রেটা থানবার্গ এক দীর্ঘ পথ পেরিয়েছে। একসময় প্রতি শুক্রবার বিশ্ব উষ্ণায়নের প্রতিবাদ করতে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে হাজির থাকত সে। গত বছর তাকে দেখা প্রতি শুক্রবার দেখা যেত সেখানে। সেখান থেকে এক বিশ্বব্যাপী যুব আন্দোলন গড়ে তুলেছে সে। বিশ্ব উষ্ণায়নের মোকাবিলা করার জন্য পদক্ষেপের দাবি তুলেছে সারা পৃথিবীর নীতি নির্ধারকদের কাছে। ‘টাইম' পত্রিকার সম্পাদক এডওয়ার্ড ফেলসেন্থাল জানিয়েচেন, গ্রেটাকে নির্বাচন করার কারণ হিসেবে কারণ ‘‘নতুন প্রজন্ম নেতৃত্ব দিলে পৃথিবীটা কেমন দেখায় সেটা আমাদের সকলকে দেখিয়ে দেওয়ার জন্য।''
১৯২৭ সাল থেকে প্রতি বছর টাইম পত্রিকা ‘পার্সন অফ দ্য ইয়ার' ঘোষণা করে। এবং সেবছরের শেষ সংখ্যায় তাঁকেই দেখা যায় মলাটে। ২০১৭ সালে সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগ্গি এই খেতাব পান আরও কয়েক জন সাংবাদিকের সঙ্গে।
এবারের পত্রিকার মলাট লেখা রয়েছে ‘তারুণ্যের শক্তি'। সেখানে গ্রেটা থানবার্গকে দেখা যাচ্ছে পর্তুগালের লিসবনে সৈকতে।
‘টাইম'-কে কিশোরী গ্রেটা জানিয়েছে, ‘‘আমরা এভাবে বেঁচে থাকতে পারি না যে, আগামীকাল বলে কিছু নেই। কেননা আগামীকাল রয়েছে। এটাই আমরা বলছি।''
গত সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রসঙ্ঘে তাঁর ভাষণের পর সারা পৃথিবীর নজর কাড়ে কিশোরী গ্রেটা থানবার্গ। বিশ্বনেতাদের সামনে সে প্রশ্ন তোলে ‘‘হাউ ডেয়ার ইউ?'' পরিবেশ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে একটি মাইলফলক হয়ে ওঠে সেই বক্তৃতা। আন্দোলনের মুখপাত্র হয়ে ওঠে গ্রেটা। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে গ্রেটার শুক্রবাসরীয় প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। গোটা পৃথিবীর পরিবেশ আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছে সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থানবার্গ।