রোজই ভজনের সময় হাজির হয়ে যায় ভুলেকর দল
হাইলাইটস
- মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে রোজ ভজন শুনতে আসে ভালুকের দল
- কেবল ভজন শোনাই নয়, ভজনের শেষে প্রসাদও খায় তারা
- মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের সীমানায় এক অরণ্যে দেখা যায় এই আশ্চর্য ঘটনা
ভোপাল: শুনলে মনে হবে যেন গল্পকথা। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ (Madhya Pradesh) ও ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) সীমান্তে শাহদল জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত এক জঙ্গলে সত্যিই ঘটে এমন ঘটনা। এখানকার রাজমাড়া রামবন আশ্রমে ভগবানের ভজন শুনতে দল বেঁধে বনের গুহা থেকে বেরিয়ে আসে ভালুকের (Bear) দল! আর তারপর তারা বসে পড়ে আশ্রমের সামনে। মন দিয়ে শুনতে থাকে ভজন। কেবল ভজন শোনাই নয়, ভজনশেষে প্রসাদও গ্রহণ করে তারা! এই ভালুকদের গল্প মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি ছত্তিশগড়েও বেশ আলোচিত। অরণ্যের মধ্যে অত্যন্ত দুর্গম স্থানে রয়েছে এক সন্ন্যাসীর আশ্রম। সীতারাম বাবা রামবন আশ্রমে এক কুঠি বানিয়ে বাস করেন।। এখানেই ঘটে এই আশ্চর্য ঘটনা। সীতারাম বাবা তাঁর বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ভজন গাইতে শুরু করলেই জঙ্গলের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসে ভালুকের দ্ল। ওই ভালুকের দলে থাকে এক পুরুষ, এক স্ত্রী ও দুই শাবক। চুপচাপ তারা ভজন শোনে। ভজনশেষে প্রসাদ নিয়ে ফিরে যায়।
এক-দু'দিন নয়, এমন কাণ্ড ঘটে রোজ। বহু দূর থেকে মানুষ আসেন এই ভালুকদের দেখতে। অনেকেই আসেন ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস নিয়ে। পাশাপাশি অনেকে বিনোদনের কারণেও আসেন। ভজন শ্রোতা হিসেবে ভালুকের দেখা পাওয়াটা এক ধরনের বিনোদন তাঁদের কাছে।
সীতারাম বাবা তাঁর আশ্রমটি তৈরি করেন ২০১৩ সালে। একদিন তিনি বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নিবিড় মনে ঈশ্বরের নামগান করতে করতে হঠাৎই চোখ খুলে তিনি দেখতে পান আশ্রমের বাইরে ভালুকরা এসে দল বেঁধে ভজন শুনছে। সাহস নিয়ে তিনি ওই ভালুকদের প্রসাদও দেন। তারা প্রসাদ খেয়ে জঙ্গলে ফিরে যায়।
সেই শুরু। এর অন্যথা হয়নি। ভজন শুনতে রোজ হাজিরা দেয় ভালুকের দল। তবে ভজন শুনতে এলেও কখনও বাবার আশ্রমের ভিতরে প্রবেশ করে না ভালুকরা।
ভালুকদের সঙ্গে ওই সন্ন্যাসীর সম্পর্ক সত্যিই চমকে দেয়। তিনি পুরুষ ভালুকটির নাম রেখেন লালি। স্ত্রী ভালুকটিকে ডাকেন লল্লি বলে।আর তাদের দু' শাবকের নাম রাখা হয়েছে চুন্নু ও মুন্নু।
তবে অন্য সময় কিন্তু জঙ্গলে হিংস্র পশুদের মতোই আচরণ করে ওই ভালুকরা। ফলে দিনের অন্য সময় ওই আশ্রমের কাছে থাকা কিন্তু বেশ আশঙ্কার।