Gudiya Rape Case: প্রায় দু'দিন ঘরবন্দী ছিল ওই নাবালিকা। ৩০ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা দুই অপরাধীর।
নয়াদিল্লি: গুড়িয়াকে অপহরণ করে গণধর্ষণ-কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে অপরাধী সাব্যস্ত করল দিল্লির এক আদালত। ২০১৩ সালের ওই ঘটনা (Abduction and brutally Raped) অপরাধীদের 'ব্যতিক্রমী বিকৃত রুচি' বলে এদিন মন্তব্য করেছে আদালত। "আমাদের সমাজে নাবালিকাদের দেবী রূপে পুজো করা হয়", শনিবারের রায়ে একথাও বলেন বিচারক। জানা গেছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি সাজা ঘোষণা হবে অপরাধী মনোজ কুমার ও প্রদীপের। দিল্লি গণধর্ষণ-কাণ্ডের মাস চারেক বাদে ঘটেছিল ওই নৃশংস ধর্ষণের (Guria Case) ঘটনা।পূর্ব দিল্লিতে থাকত ওই নাবালিকার পরিবার। তাদের বাড়ির নীচের ঘর (বেসমেন্ট) থেকে প্রায় দু'দিন পর অচৈতন্য অবস্থায় গুড়িয়াকে উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রথমে ওই নাবালিকাকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার। কিন্তু সে সময় গা করেনি দিল্লি পুলিশ। 'আপনারাই খুঁজে নিন', বলে দায় ঝেড়েছিল পুলিশ।পরে ৪৮ ঘণ্টা বাদে অচৈতন্য গুড়িয়ার (Guria) যৌনাঙ্গ থেকে মোম ও বোতল উদ্ধার করেছিল পুলিশে।
একটা ঘর থেকে গোঙানির শব্দ পেয়ে সন্দেহ হয় পড়শিদের। তাঁরা বিষয়টা গুড়িয়ার পরিবারকে জানিয়েছিল। খবর জায় পুলিশে। তারপরেই ঘরের তালা ভেঙ্গে ওই নাবালিকাকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ঘটনার একসপ্তাহের মধ্যেই দুই অপরাধীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কিন্তু আইনে জটে প্রায় সাত বছর পর অপরাধী সাব্যস্ত হল মনোজ-প্রদীপ।
এদিন আদালত বলেছে, "আমাদের দেশে নাবালিকারা দেবী রূপে পূজিত হয়।কিন্তু এই ঘটনা পরিকল্পিত ও বিকৃত রুচির পরিচয়। যে অপরাধ গোটা সমাজব্যবস্থাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল।" দিল্লি-কাণ্ডের পর এই ঘটনাতেও নাগরিক সমাজ প্রতিবাদে নেমেছিল। সে সময় অভিযুক্তদের ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করে পথে নেমেছিল নাগরিক সমাজ। নাবালিকা, অপহরণ ও ধর্ষণের আইন আরও কড়া হোক। বিভিন্ন মহল থেকে এমন দাবিও উঠেছিল।