‘‘এই ধরনের ভীতিপ্রদর্শনকারী কৌশল অত্যন্ত হতাশাজনক।’’ জানিয়েছেন ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়া
হাইলাইটস
- পাকিস্তানে ইফতার পার্টির আমন্ত্রিতদের সঙ্গে অভব্য আচরণ।
- আমন্ত্রিতদের জোর করে ওই স্থান ছেড়ে যেতে বাধ্য করে পাকিস্তান।
- গত মাসে শিখ তীর্থযাত্রীদের সাহায্য করায় বিপাকে পড়েন দু’জন।
নয়াদিল্লি/ ইসলামাবাদ: পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে (Islamabad) ভারতীয় হাই কমিশন (Indian High Commission) আয়োজিত একটি ইফতার (Iftar) পার্টিতে আমন্ত্রিতদের ভয় দেখানো ও আক্রমণাত্মক ভাবে ওই স্থান থেকে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। শনিবার দিন ঘটা ওই ঘটনার কথা জানিয়েছেন এক শীর্ষ ভারতীয় কূটনীতিক। পাকিস্তানি আধিকারিকরা হোটেল সেরেনা, যেখানে ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল সেটি ঘিরে ফেলেন। তারপর শতাধিক অতিথিকে বিব্রত করেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই তাদের প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে। আমন্ত্রিতদের জোর করে ওই স্থান ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়। সংবাদ সংস্থা এক অনাম্নী সূত্রের উল্লেখ করে একথা জানিয়েছেন।
মমতাকে “জয় শ্রীরাম” লেখা ১০ লক্ষ পোস্টকার্ড পাঠানো হবে: বিজেপি
পাকিস্তানে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়া বলেছেন, ‘‘আমরা সকল অতিথিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, যাঁদের আক্রমণাত্মক ভাবে কালকের ইফতার পার্টি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের ভীতিপ্রদর্শনকারী কৌশল অত্যন্ত হতাশাজনক।''
অজয় বলেন, এই ধরনের কৌশল দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পক্ষে প্রতিকূল। তিনি জানান, ‘‘তাঁরা শুধু কূটনৈতিক আচরণের মৌলিক নিয়ম এবং সভ্য ব্যবহারের নিয়মকেই লঙ্ঘন করছেন না, দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পক্ষেও প্রতিকূল।''
এএনআই জানাচ্ছে, কয়েকজন পাকিস্তানি আধিকারিক আমন্ত্রিতদের কাছে ছদ্মবেশ ধারণ করে পৌঁছে গিয়ে তাঁদের ইফতারে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে হুমকি দেন।
ভারতীয় আধিকারিকদের বিব্রত করার ঘটনা এই প্রথম ঘটাল না প্রতিবেশী পাকিস্তান। গত মাসেই লাহোরের কাছে গুরদ্বারা সাচা সওদায় শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য দু'জন কূটনীতিককে একটি ঘরে ২০ মিনিট আটকে রাখা হয়। এ ব্যাপারে ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করে। ওই দুই কূটনীতিককে ভয় দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয় ওই অঞ্চলে আর না আসতে।
#StopHindiImposition কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির খসড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
এই সপ্তাহের শুরুতে পাকিস্তান হাই কমিশন দিল্লিতে একটি ইফতার নৈশভোজের আয়োজন করে। সেখানে জনপ্রিয় লেখক, শিল্পীরা ছাড়া পাকিস্তানি ছাত্ররা অংশগ্রহণ করেছিলেন।