করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে অফিসগুলোকেও মেনে চলতে হবে কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা (প্রতীকী চিত্র)
হাইলাইটস
- ৮ জুন থেকে দেশের সব জায়গাতেই খুলে যাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত অফিস
- তবে অফিসগুলোতে মেনে চলতে হবে কেন্দ্রের জারি করা কড়া নির্দেশিকা
- করোনা সতর্কতায় সরকারের তরফে সকলকে সজাগ থাকার অনুরোধ করা হয়েছে
নয়া দিল্লি: ৮ জুন থেকে দেশে সমস্ত অফিস খোলার ব্যাপারে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)। তবে কর্মসংস্কৃতি চালু করার পথে হাঁটলেও সমস্ত দফতরেই মেনে চলতে হবে করোনা (Coronavirus Outbreak) সতর্কতায় জারি নির্দেশিকা (Guidelines for office Reopen), স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জারি করা নির্দেশ অনুসারে, কোনও অফিসের কর্মী যদি কোভিড -১৯ এর কনটেইনমেন্ট জোনে বাস করেন, তবে তাঁর এলাকাকে যতদিন না পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রক সংক্রমণ মুক্ত বলে ঘোষণা করছে ততদিন পর্যন্ত তাঁকে বাড়ি থেকেই কাজ (Work From Home) করার অনুমতি দেওয়া উচিত। পাশাপাশি কেন্দ্র একথাও জানিয়েছে যে, যদি কোনও অফিস চত্বরে একটি বা দুটি করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে তখন প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, তবে তার জন্যে গোটা অফিস বন্ধ রাখার প্রয়োজন নেই।অফিসটিকে স্যানিটাইজ করে ভাইরাস মুক্ত করার পর ফের কাজ শুরু করা যেতে পারে। তবে তারপরেও যদি দেখা যায় যে সেখানে কোভিড -১৯ সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তবে পুরো অফিস চত্বরটিই কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হবে এবং ততদিন সমস্ত কর্মচারীই বাড়ি থেকে কাজ করবেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকার একথাও জানিয়েছে যে, যদি কোনও এলাকা করোনা ভাইরাসের কনটেইনমেন্ট জোন হয়, তবে সেখানকার হাসপাতাল ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা ছাড়া সমস্ত অফিস বন্ধ রাখতে হবে।
করোনা সতর্কতায় ধর্মীয় স্থানগুলোতে বন্ধ থাকছে প্রসাদ ও চরণামৃত বিতরণ, গাওয়া যাবে না প্রার্থনা সঙ্গীতও
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউনের পথে হেঁটেছে দেশ। এর ফলে সামগ্রিক অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে, বেকার হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। ভারতীয় অর্থনীতিকে ফের ঘুরে দাঁড় করাতে তাই এবার কর্মসংস্কৃতি (Unlock 1) চালুর পথেই হাঁটতে চায় সরকার।
খুলল ধর্মীয় স্থান,শপিং মলের দরজা, দেওয়া হল নয়া গাইডলাইন
কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য প্রত্যেক অফিসেই থার্মাল স্ক্যানিং যন্ত্র রাখতে হবে। পাশাপাশি অফিসের প্রবেশদ্বারেই স্যানিটাইজার মেশিন রাখতে হবে যাতে কর্মচারীরা অফিসে প্রবেশের আগে সেখান থেকে হাত পরিষ্কার করে নিতে পারে। পাশাপাশি একথাও সাফ বলা হয়েছে যে, একমাত্র যে কর্মচারীদের মধ্যে করোনা সংক্রান্ত কোনও লক্ষণ নেই তাঁরাই শুরু কাজে যোগ দিতে পারবেন।নির্দেশাবলী অনুসারে, প্রতিটি কর্মীরই মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। পাশাপাশি ৬৫ বছরের বেশি বয়সী কর্মচারী এবং গর্ভবতী মহিলাদের এই পরিস্থিতিতে বাড়িতে থেকে কাজ করারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অফিসের পরিষেবায় ব্যবহৃত গাড়িগুলোর চালকদেরও মেনে চলতে হবে কড়া নিয়ম। তাঁদেরও গাড়ি চালানোর সময় সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে, অর্থাৎ একসঙ্গে অনেক কর্মীকে গাড়িতে তোলা যাবে না। কোনও গাড়ির চালক যদি কোনও কনটেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দা হন তবে তাঁকে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেওয়া উচিত নয়। অফিসগুলিতে ব্যবহৃত গাড়িগুলোকে যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার পর নিয়মিত স্যানিটাইজড করা প্রয়োজন।
অফিসগুলিতে কোনও মিটিং করতে হলে ভিডিও কনফারেন্সিং ব্যবস্থার ব্যবহারেই সুপারিশ করেছে কেন্দ্র।
যেকোনও অফিসের ওয়ার্ক স্টেশন, অফিস গ্যালারি, বাথরুম, লিফট, সিঁড়ি, পার্কিংয়ের জায়গা, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদির জায়গাতে দ্রুত করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই কিছ সময় অন্তর এই ধরনের জায়গাগুলো স্যানিটাইজ করা প্রয়োজন হবে। পাশাপাশি দরজার হাতল, লিফটের বোতাম, বাথরুমের দরজার মতো জায়গাগুলিও নিয়মিত স্যানিটাইজ করা দরকার।
জনবহুল স্থানগুলোতে ভিড়ভাট্টা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করতে হবে সব জায়গায়। ক্যাফেটেরিয়া বা ক্যান্টিনের মতো জায়গাগুলিতেও কর্মচারীদের অবশ্যই মাস্ক এবং গ্লাভস পরার পাশাপাশি অন্যান্য নিয়মগুলিও অনুসরণ করতে হবে। এমনকী কোনও ক্যাফে বা ক্যান্টিন তো বটেই, কর্মস্থলেও কর্মীদের বসার ব্যবস্থা করার সময় সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি অনুসরণ করা প্রয়োজন।