This Article is From Jun 12, 2018

এই যোগী মহারাজ নাকি জল ও অন্ন ছাড়া সত্তর বছর ধরে বেঁচে আছেন

এই যোগী মহারাজ সর্বদা লাল বসন পরে থাকেন এবং তিনি 'মাতাজী' হিসাবে পরিচিত।বর্তমানে তাঁকে ঘিরে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মনে কৌতহলের সৃষ্টি হয়েছে

এই যোগী মহারাজ নাকি জল ও অন্ন ছাড়া সত্তর বছর ধরে বেঁচে আছেন

গুজরাটের এই যোগী 'মাতাজী' নামে প্রসিদ্ধ

মেহসানা (গুজরাট):

আন্তর্জাতিক সংগঠন তাঁকে 'বৃদেরিয়ান' (কারণ উনি শুধু হাওয়া খেয়ে থাকেন) বলে ডাকে।88 বছরের প্রহ্লাদ জৈন, গুজরাটের মেহসানার চারড গ্রামের একজন যোগী, তিনি জানিয়েছেন যে, গত সত্তর বছর ধরে তিনি জল বা খাদ্য গ্রহণ না করেই জীবন অতিবাহিত করছেন।

এই যোগী মহারাজ সর্বদা লাল বসন পরে থাকেন এবং তিনি 'মাতাজী' হিসাবে পরিচিত।বর্তমানে তাঁকে ঘিরে সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের মনে কৌতহলের সৃষ্টি হয়েছে।তাঁর এই অসাধারণ জীবন যাপনের কথা যে শুনেছে সেই বিস্মিত হয়েছে।   

তাঁকে নিয়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত বহু রকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়েছে।যে সমস্ত বিখ্যাত বিজ্ঞানীরা তাঁকে নিয়ে গবেষণা করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. এপীজে আব্দুল কালাম।
 

mataji prahlad jani


দূর-দূরান্ত থেকে লোকে তাঁর আশ্রমে আসেন তাঁকে দর্শন করার জন্য

তাঁর আশ্রম নিয়েও বহু বিজ্ঞানী এবং ডাক্তার গবেষণা করেছেন, কিন্তু তাঁরাও নির্দিষ্ট করেকিছু বলতে পারেন নি।তাঁর জীবন-ধারণ সম্পর্কে কেউই নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে অক্ষম।

2010 সালে প্রহ্লাদ জৈনকে নিয়ে DIPAS (ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অফ ফিজিওলজি এন্ড এলিয়েড সাইন্স) এবং DRDO (ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানিজেশান) গবেষণা শুরু করেছিল, সেখানে 15 দিন ধরে ক্যামেরার সাহায্যে ক্রমাগত তাঁর সমস্ত গতিবিধির দিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল।তাঁর এমআরআই, আল্ট্রাসাউন্ড, এক্স-রে প্রভৃতি সমস্ত রকম পরীক্ষা করে দেখা হয়।সেই সাথে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা- নিরীক্ষা করেদেখা হয়েছিল।

সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর একটা সিদ্ধান্তেই আসা সম্ভব হয়েছে, যে তিনি সত্যিই কোনো রকম অন্ন বা জল গ্রহণ করেন না। ওনার সিরাম লেপটিন এবং ঘ্রেলিন স্তরের অনুমানে জানা গেলো যে তিনি অন্ন এবং জল ছাড়াও থাকতে পারেন।
 

mataji prahlad jani

''মাতাজী'' প্রহ্লাদের ধ্যানমগ্ন ছবি

 

মা দুর্গার আর এক রূপ অম্বার পূজা করেন বলেই তিনি 'মাতাজী' নামে প্রসিদ্ধ, তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর ধ্যানই সমস্ত শক্তির উৎস।তিনি লোকের সমস্যা দূর করেন, কিন্তু তার জন্য দক্ষিণা স্বরূপ কোনো কিছুই গ্রহণ করেন না।

দূর-দূরান্ত থেকে লোকে তাঁর আশ্রমে আসেন তাঁকে দর্শন করার জন্য।এমনকি তাঁর আশীর্বাদ গ্রহণের জন্য প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব তাঁর কাছে গেছেন। 
.