গুজরাটের বনসকন্ঠে বাস দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু হয়
বাস উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ২১ জনের মৃত্যু, আহতে সংখ্যা ৫০। সোমবার উত্তর গুজরাটের বনসকন্ঠে বাসটি উল্টে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে, এমনটাই জানিয়েছে সংবাদসংস্থা পিটিআই। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তা পিছল হওয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারান বাসের চালক। পদস্থ পুলিশ কর্তা অজিত রাজিয়ান বলেন, “বেসরকারি বিলাশবহুল বাসটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিলেন, ত্রিশুলাঘাটে বাসটি উল্টে যায়”। ছবিতে দেখা গিয়েছে, আম্বাজি-দান্তা জাতীয় সড়কের ত্রিশুলাঘাটে বাসটি সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কারের চেষ্টা করছে দুটি বুলডোজার। ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী ট্যুট করেন, “বনসকন্ঠ থেকে ভয়ঙ্কর খবর। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরে আমি খুবই শোকাহত। এই শোকাহত পরিবেশে, স্বজন পরিবারগুলির প্রতি আমার সমবেদনা। আহতদের পাশে থেকে সবরকম সাহায্য করছে স্থানীয় প্রশাসন। তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি”।
রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এইনিয়ে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “গুজরাটের বনসকনন্ঠে বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর পেয়ে গভীর শোকাহত। আমি স্থানীয় ও রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা করছে তারা। আমার হৃদয়পূর্ণ শোকবার্তা। আহতদের দ্রুত আরোগ্যলাভ কামনা করি”।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আহতদের দান্তা ও পানলপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন জেলাশাসক সন্দীপ সাগলে। আঙত ৩৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি। জেলাশাসক বলেন, “আহতদের চিকিৎসা এবং মৃতদের ময়নাতদন্তের জন্য দুটি হাসপাতালেই আমরা আরও চিকিৎসক মোতায়েন করেছি। সমস্ত যাত্রীই একই গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন, অম্বাজী মন্দির থেকে ফিরছিলেন তাঁরা”।
ত্রিশুলা গাটে গত জুনেই দুর্ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। জেলাশাসক সন্দীপ সাগলে জানান, ত্রিশুলা ঘাটের রাস্তাটি চার-লেনের করা হবে।
(পিটিআই থেকে পাওয়া তথ্য সংযোজিত হয়েছে)