মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের ব্যাপার, রাজ্যপালের বিষয় নয়।
হাইলাইটস
- রাজ্যে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।
- মুখ্যমন্ত্রী বললেন, রাজ্যপাল তাঁকে ওই বৈঠকে অংশ নিতে বললেও তিনি যাবেন না।
- তৃণমূলের তরফে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজভবনে যাবেন।
কলকাতা: রাজ্যে নির্বাচন (National Election 2019) পরবর্তী হিংসার একাধিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী (Keshari Nath Tripathi)। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করলেন, রাজ্যপাল ওই বৈঠক ডেকেছেন বিজেপির নির্দেশে। তিনি বলেন, রাজ্যপাল তাঁকে ওই বৈঠকে অংশ নিতে বললেও তিনি যাবেন না। তাঁর দাবি, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের ব্যাপার, রাজ্যপালের বিচার্য বিষয় নয়। তৃণমূল কংগ্রেস, বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপি(আই)এমকে ওই বৈঠকে আসার জন্য আহ্বান করেছেন রাজ্যপাল। রাজ্যে সাম্প্রতিক একাধিক রাজনৈতিক হিংসাত্মক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই তিনি দলগুলির সঙ্গে বসতে চেয়েছেন। রাজ ভবনে ওই বৈঠকে তিনি না গেলেও তাঁর এক প্রতিনিধি সেখানে থাকবেন তা অবশ্য জানিয়েছেন মমতা। জানা গিয়েছে তৃণমূলের তরফে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপালের কাছে যাবেন।
কাজে ফেরার জন্য জুনিয়র চিকিৎসকদের ৪ ঘন্টার সময়সীমা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
আজ সংবাদমাধ্যমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘উনি বিজেপির মাউথপিস। বিজেপি ওঁকে বলেছে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে, আর তাই তিনি তা ডেকেছেন। উনি আমাকেও ডেকেছেন। কিন্তু আমি বলেছি আমি যাব না, কারণ আপনি রাজ্যপাল আর আমি নির্বাচিত সরকার। সবথেকে বড় কথা, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। এটা আপনার বিষয় নয়।''
রাজ্যের সেরা ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কৃত করলেন মুখ্যমন্ত্রী
তৃণমূল নেত্রী বলেন, রাজ্যপাল এক কাপ চা বা শান্তি বৈঠকের জন্য ডাকতেই পারেন। তিনি জানান, ‘‘তাই আমি দলের প্রতিনিধিকে পাঠিয়ে দেব ওখানে। উনি যাবেন, এক কাপ চা খাবেন আর ফিরে আসবেন।''
জানা যাচ্ছে, ওই বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়া বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি সোমেন মিত্র ও সিপি(আই)এমের রাজ্য সভাপতি সূর্যকান্ত মিশ্র যোগ দেবেন।
এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা বেড়েঠছে। ফলাফলে বিজেপির অভাবনীয় উত্থান দেখা গিয়েছে। বিজেপি পায় ১৮টি আসন। তৃণমূল পায় ২২টি। ২০১৪ লোকসভায় বিজেপি পেয়েছিল মাত্র ২টি আসন। তৃণমূল পেয়েছিল ৩৪টি। অর্থাৎ এবার বিজেপি ১৬টি আসন বেশি পেয়েছে। যেখানে তৃণমূল পেয়েছে ১২টি আসন কম।
গত শনিবার তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে সন্দেশখালিতে তিনজনের মৃত্যু হয়।