This Article is From Mar 31, 2020

ছাঁটাইয়ের ভয়ে কাঁপছেন আমেরিকায় কর্মরত H1B ভিসার ভারতীয়রা! করলেন কী আবেদন?

এইচ ১ বি(H1B) ভিসা হল এমন একটি ভিসা যা আমেরিকান কোম্পানিগুলিতে প্রযুক্তিগত পারদর্শীদের বা বিদেশি কর্মীদের কাজ করার অনুমতি দেয়।

ছাঁটাইয়ের ভয়ে কাঁপছেন আমেরিকায় কর্মরত H1B ভিসার ভারতীয়রা! করলেন কী আবেদন?

হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৪৭ মিলিয়ন মানুষ বেকার হতে পারেন

হাইলাইটস

  • ব্যাপক ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা আমেরিকায়
  • ছাঁটাইয়ের ভয়ে কাঁপছেন আমেরিকায় কর্মরত H 1B ভিসার ভারতীয়রা
  • হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৪৭ মিলিয়ন মানুষ বেকার হতে পারেন

ব্যাপক ছাঁটাইয়ের(Layoff) আশঙ্কা আমেরিকায়। গোটা বিশ্বজুড়েই(Global Economy)  করোনা ভাইরাসের কারণে তাদের ব্যবসা প্রভাবিত হয়েছে । আর এর ফলে সবথেকে মুশকিলে পড়তে চলেছেন সেদেশে প্রযুক্তি পেশার সঙ্গে যুক্ত বিদেশীরা যারা এইচ ১বি(H1B) ভিসা নিয়ে সেদেশে রয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ ভারতীয়রা তাদের চাকরি হারাবার আশঙ্কা করছেন। চাকরি হারাবার পর নিয়ম অনুযায়ী আমেরিকায় থাকার সময়সীমা হল ৬০ দিন ।তাই প্রশাসনের কাছে তারা দাবি এই ৬০ দিন সময়সীমা বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হোক। এই এইচ ১ বি(H1B) ভিসা হল এমন একটি ভিসা যা আমেরিকান কোম্পানিগুলিতে প্রযুক্তিগত পারদর্শীদের বা বিদেশি কর্মীদের কাজ করার অনুমতি দেয়। এই প্রযুক্তি নির্ভর কোম্পানিগুলি ভারত এবং চিনের হাজার হাজার কর্মীদের দক্ষতা ও শ্রমের ওপরই নির্ভর করে।

এখন যে ফেডারেল নিয়ম রয়েছে তা অনুযায়ী H1B ভিসা যাদের কাছে রয়েছে, আমেরিকায়  কাজ হারালে ৬০ দিনের মধ্যে পরিবার নিয়ে তাদেরকে সেদেশ ছাড়তে হবে।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ভয় পাচ্ছেন যেভাবে আমেরিকার অর্থনীতি কোরনা ভাইরাসের কারণে প্রভাবিত হচ্ছে ।তাতে ব্যাপক ছাঁটাইয়ের (Lay off) সম্ভাবনা রয়েছে বিভিন্ন সেক্টরে। যা আসন্ন সপ্তাহ বা মাসে আরও খারাপের দিকে যাবে।

প্রায় ৩০ লক্ষ ৩০ হাজার আমেরিকান initial jobless claim বা বেকার ভাতার জন্য মার্চের ২১ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে ইতিমধ্যেই আবেদন করে ফেলেছেন এর জন্য।এমন কী আমেরিকায় করোনা ভাইরাসের দাপট যখন সব থেকে বেশি ছিল মাত্র  দুই সপ্তাহ আগে লক্ষাধিক মানুষ ইতিমধ্যেই তাদের চাকরি হারিয়েছেন আমেরিকায়,শোনা যাচ্ছে তাও।

হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৪৭ মিলিয়ন মানুষ বেকার হতে পারেন।যারা H1B ভিসায় আমেরিকায় কাজ করছেন, তারা এই বেকার ভাতা পাবেন না। এমন কী সামাজিক সুরক্ষা থেকেও বঞ্চিত থাকেন তারা। তাছাড়াও এক্ষেত্রে তাদের মাইনে থেকেও টাকা কেটে নেওয়া হয়।প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে প্রচুর পরিমাণ H1B কর্মীদের ছাঁটাই করা হবে। কিছু ক্ষেত্রে শোনা যাচ্ছে, কোম্পানির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই H1B ভিসায় কাজ করা কর্মীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে ছাঁটাইয়ের তালিকায় সবথেকে উপরে তারাই রয়েছে।

এরকম পরিস্থিতিতে হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে H1B  ভিসায় কর্মরতরা একটি পিটিশন ক্যাম্পেন বা আবেদন করেছেন। সেখানে কাজ হারালে আমেরিকায় থাকার ক্ষেত্রে যে সময়সীমা দেওয়া হয়, তা বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ রাখা হয়েছে।এখনও পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার সই সহ পিটিশন বা আবেদন জমা পড়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, "আমরা সরকারের কাছে আবেদন করছি H1B কর্মীরা কাজ হারাবার পর দেশ ছাড়ার জন্য যে ৬০ দিন সময়সীমা পান তা বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হোক এই কঠিন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে।"

যদি আবেদনকারীর সংখ্যা এক লক্ষ হয় তবেই হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে উত্তর পাওয়া যায়।আশঙ্কা করা হচ্ছে এখন কোভিড ১৯ এর ফলে যা পরিস্থিতি আমেরিকায় তাতে ব্যাপক ছাঁটাই হতে পারে,বলছে পিটিশন আইন অনুযায়ী এই H1B ভিসার কর্মীরা চাকরি হারাবার পর আমেরিকাতে থাকার জন্য ৬০ দিনের একটি সময়সীমা পান। এই ৬০ দিনের মধ্যে তাদের নতুন চাকরি খুঁজে নিতে হয় নতুবা দেশ ছাড়তে হয় তাদের। পিটিশনে জানানো হয়েছে একথা।

বেশিরভাগ H1B কর্মী ভারতীয়। এবং পরিবার নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন না কারণ ইতিমধ্যেই ভারত সমেত বহু দেশই সেদেশে ঢোকা বেরোনো নিষিদ্ধ করেছে কোরনা ভাইরাসের কারণে। "H1B কর্মীদের অর্থনীতিতে একটা বড় যোগদান রয়েছে এরা বেশিরভাগই আইটি সংস্থাকে সাহায্য করে ।যাদের  আয়করেও বড় যোগদান রয়েছে," বলা হয়েছে পিটিশনে।এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখের কাছাকাছি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর বিশ্বজুড়ে রয়েছে। ১৭৫ টি দেশ এবং প্রান্ত এর দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। ৩৭ হাজারেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কোরনা ভাইরাসের কারণে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী আমেরিকায় সবথেকে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা খোঁজ পাওয়া গেছে। সংখ্যাটা হল ১ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি।

.