Read in English
This Article is From Oct 31, 2018

"আজ ইন্দিরা গান্ধী বেঁচে থাকলে আমি কংগ্রেসে থাকতাম": শত্রুঘ্ন সিনহা

প্রকাশ্যে তাঁর দল ও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন তিনি। যা এসেছে সংবাদের শিরোনামে। তাতে অবশ্য বলিউডের ‘বিশ্বনাথ’-এর থোড়াই কেয়ার!

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

রাফাল চুক্তি নিয়ে নীরবতা ভঙ্গ করে কথা বলার জন্য দু'বার মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন তিনি।

নিউ দিল্লি:

প্রকাশ্যে তাঁর দল ও দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন তিনি। যা এসেছে সংবাদের শিরোনামে। তাতে অবশ্য বলিউডের ‘বিশ্বনাথ'-এর থোড়াই কেয়ার! সেই ‘বিশ্বনাথ' তথা শত্রুঘ্ন সিনহা এবার এনডিটিভির কাছে ফের আরেকবার করলেন এমন এক বিস্ফোরক মন্তব্য, যা প্রকাশ্যে আসার পরই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “ইন্দিরা গান্ধী যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তাহলে আমি কংগ্রেসে থাকতাম”। বাজপেয়ী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সময় দু'বার মন্ত্রীত্ব পেয়েছিলেন বাহাত্তর বছর বয়সী এই অভিনেতা। তিনি যদিও এই কথা বলার পরে এটাও স্পষ্ট করে দেন যে, আপাতত বিজেপি ছাড়ার কোনও ইচ্ছে তাঁর নেই। তবে, দল যদি মনে করে, তবে তাঁকে বের করে দিতে পারে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে ইতিবাচক কিছু গ্রহণ করতে পেরেছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি মোদীর কর্মক্ষমতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “আমাদের ধর্মগ্রন্থ আমাদের জানিয়েছে, সকলের কাছ থেকেই কিছু না কিছু শেখার আছে। এমনকি রাবণের কাছ থেকেও”।

তাঁর বরাবরের এমন তীব্র সমালোচনা সত্ত্বেও তাঁর দলের সঙ্গে বর্তমান সম্পর্কটা ঠিক কীরকম, এই প্রশ্নের উত্তরে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, “অম্লমধুর সম্পর্ক। একজন কাউকে থাকতেই হয়, যে দলের ভুলগুলোও চোখে আঙুল দিয়ে দেখাতে পারবে। আমি বিজেপিতে সেই দায়িত্বটাই তো পালন করে আসছি বহুদিন ধরে”।

Advertisement

অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের আমল কেমন ছিল, তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ওই সময়টা বিজেপির মধ্যে একটা গণতান্ত্রিক কাঠামো ছিল। তাঁর কথায়, বর্তমান শাসনকালে তা আর নেই। এখানে এখন একনায়কতন্ত্রই বেশি। যেখানে বিমুদ্রাকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছিল কাউকে বিন্দুমাত্র না জানিয়ে, সকলকে অন্ধকারে রেখে, বছর দুয়েক আগের এক নভেম্বর মাসের রাত্রিবেলা।  

প্রসঙ্গত, রাফাল চুক্তি নিয়ে নীরবতা ভঙ্গ করে কথা বলার জন্য দু'বার মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।

Advertisement
Advertisement