"দেশের মনীষীদের স্মরণ করা কি অপরাধ?" প্রশ্ন মোদীর।
কেভাদিয়া, গুজরাট: সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের 182 মিটার উঁচু মূর্তির উদ্বোধন করার পরেই তাঁর সমালোচকদের একহাত নিলেন নরেন্দ্র মোদী। আজ গুজরাটের কেভাদিয়াতে বিশ্বের উচ্চতম এই মূর্তিটির উদ্বোধন হয়ে গেল। তারপর তাঁর সমালোচকদের আক্রমণ করাকে ওয়াকিবহালমহল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবেই দেখছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, "সর্দার প্যাটেল দেশের জন্য লড়াইটা না করলে 'শিবভক্ত'রা আজ সোমনাথ মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসতে পারত না"। তিনি বলেন, "একবার ভাবুন তো, সর্দার প্যাটেল যদি জাতির একতার জন্য লড়াইটা না করতেন, তাহলে আজ গিরের বাঘ বা সিংহ দেখার জন্যও ভারতীয়দের ভিসা লাগত। এমনকি, সোমনাথ মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্যও ভিসা দরকার পড়ত শিবভক্তদের। হায়দরাবাদের চারমিনার দেখতে গেলেও তা হাতে ভিসা নিয়ে দেখতে যেতে হত"৷ গত বছর নভেম্বরে রাহুল গান্ধীর সোমনাথ মন্দির সফর নিয়ে নরেন্দ্র মোদী তাঁকে একহাত নেন। মোদী তখন বলেছিলেন, রাহুল গান্ধীর প্রপিতামহ জওহরলাল নেহরু নিজেই চাননি সোমনাথ মন্দিরের পুনরায় সংস্কার করতে। সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্য ওই মন্দিরের সংস্কারকার্যটি সম্পন্ন হয়। 1026 খ্রীস্টাব্দে গজনীর সুলতান মাহমুদ লুঠপাট চালিয়ে ভেঙে দিয়ে গিয়েছিলেন সোমনাথ মন্দির।
শুধু রাহুল গান্ধীকে নয়, যাঁরা যাঁরা সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মূর্তি বানানো নিয়ে সমালোচনা করেছেন, তাঁদের সকলকেই একহাত নেন নরেন্দ্র মোদী। " আমি একটা ব্যাপার দেখে অবাক হয়ে গেলাম, যে, কীভাবে আমাদের দেশের কয়েকজন মানুষ এই কাজটিকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখছেন। এমনভাবে তাঁরা সমালোচনা করছেন আমাদের, যেন, এই মূর্তি বানিয়ে আমরা কোনও ঘোরতর অপরাধ করে ফেলেছি। দেশের মনীষীদের স্মরণ করা কি অপরাধ?" প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।