Read in English
This Article is From Sep 14, 2019

ওসামা বিন লাদেনের ছেলের মৃত্যু হয়েছে, জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

এর আগে অগস্টে মার্কিন সংবাদমাধ্যম গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য তুলে ধরে প্রকাশ করে, বছর দুয়েক আগে আমেরিকার অভিযানে মৃত্যু হয়েছে লাদেনের ছেলের

Advertisement
ওয়ার্ল্ড Translated By

হামজা বিন লাদেনের ৩০ বছর বয়স বলে মনে করা হত, সে ছিল “আল কায়দার উঠতি নেতা”

Highlights

  • মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবর, অভিযানে মৃত্যু হয়েছে হামজা বিন লাদেনের
  • সে ৩০ বছর বয়সী ছিল বলে ধরা হয়, ছিল লাদেনের ১৫ তম সন্তান
  • গতমাসে মৃত্যুর খবর স্বীকার করেন প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এসপার
ওয়াশিংটন:

ওসামা বিন লাদেনের (Osama bin Laden) ছেলে তথা আল কায়েদার উত্তরাধিকারী হামজা বিন লাদেনের (Hamza bin Laden) মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার জানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে সন্ত্রাস-বিরোধী অভিযানে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জুলাইয়ের শেষ এবং অগস্টের প্রথম দিকে, গোয়েন্দা আধিকারিকদের বক্তব্য তুলে ধরে মার্কিন সংবাদমাধ্যম জানায়, গত দুবছরের কোনও এক সময়ে আমেরিকার একটি অভিযানে মৃত্যু হয়েছে লানেদের ছেলের। প্রতিরক্ষাসচিব মার্ক এসপার,তার মৃত্যুর খবর গতমাসে নিশ্চিত করে বলেন যে, এটা ছিল, “তার বোঝাপড়া”, যে বিন লাদেন মারা গিয়েছে, তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ অন্যান্যরা সেই খবর সরকারিভাবে নিশ্চিত করেননি।  

হোয়াইট হাইজের তরফে জারি করা একটি বিবৃতিতে মাপ্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “ওসামা বিন লাদেনের পুত্র এবং আল কায়েদার উচ্চ পর্যায়ের সদস্য হামজা বিন লাদেন, আফগানিস্তান/পাকিস্তান অঞ্চলে আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে মারা গিয়েছে”। তিনি বলেন, “হামজা বিন লাদেনের মৃত্যু আল কায়েদাকে শুধুমাত্র নেতৃত্বের ক্ষমতার অভাব বোধ করবে তাই নয়, তার সঙ্গে তার বাবার প্রতীকি যোগ, এতে গোষ্ঠীটির কার্যক্ষমতাও কমবে”।

যদিও অভিযানের নির্দিষ্ট সময়ের উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে।

Advertisement

২০১৯-এর ফেব্রুয়ারিতে, সম্ভবত তার মৃত্যুর পর, ১ মিলিয়ন ডলার দানের ঘোষণা করে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট।  তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০ জন সন্তানের মধ্যে, হামজা ছিল তার ১৫ তম সন্তান, সে ছিল তার তৃতীয় স্ত্রীর সন্তান। তার বয়স ৩০ বলে ধরা হয়, এবং সে ছিল “আল কায়দা গোষ্ঠীর উঠতি নেতা”।

মাঝেমধ্যেই নিজেকে “জিহাদের মুকুটভূষিত রাজা” বলে ঘোষণা করে অডিও এবং ভিডিও বার্তা প্রকাশ করত হামজা বিন লাদেন।  স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১১ এর মে তে বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের ওপর হামলা চালানোর ডাক দিত সে।

Advertisement

২০০১-এর ১১ সেপ্টেম্বর আমেরিকায় হামলা চালানো সংগঠনটির আগামী প্রজন্মকে আকর্ষণ করতে সেটাই ছিল তার অন্যকতম চাবিকাঠি।

সম্ভাব্য উত্তরাধিকারী

Advertisement

ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যু এবং আরও মারাত্মক ক্ষতিকর ইসলামিক স্টেট গ্রুপের উত্থান নব প্রজন্মের কাছে আল কায়েদাকে অপ্রসাঙ্গিক করে তোলে।

তবে তাদের শাখার বিস্তার এবং আফগানিস্তান, ইয়েমেন, সিরিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় সহ সমগঠনের মাধ্যমে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন চালিয়ে যায় তারা।

Advertisement

আব্বোতাতাবাদে তার বাবার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়, পাকিস্তান জানায়, আল কায়েদার পরবর্তী নেতা হিসেবে তৈরি হচ্ছিল হামজা বিন লাদেন।

আল কায়েদার আরেক নেতার মেয়েকে বিয়ে করার ভিডিও খুঁজে পায় মার্কিন সামরিক বাহিনী, সম্ভবত সেই বিয়েটি হয়েছিল ইরানে।

Advertisement

২০১৭-এ হামজাকে জঙ্গিদের কালো তালিকাভুক্ত করে মার্কিন প্রশাসন, আয়ামেন আল জাহিরির নেতৃত্বাধীন বাহিনীর অন্যতম ক্ষমতাবান নেতা হিসেবে তাকে দেখা যায়।

Advertisement