Unnao Woman: আমার মেয়েকে প্রচণ্ড মারধর করে তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মেরার ফেলার চেষ্টা করে ধর্ষকরা, অভিযোগ মৃতার বাবার
হাইলাইটস
- এক সপ্তাহের মধ্যে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আবেদন উন্নাওয়ের নিগৃহীতার বাবার
- শুক্রবার রাতেই দিল্লির হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর মেয়ের
- তাঁর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয় ৫ দুষ্কৃতী
উন্নাও, উত্তরপ্রদেশ: তেলেঙ্গানা ধর্ষণকাণ্ডের রেশ যেতে না যেতেই উত্তরপ্রদেশের উন্নাও কাণ্ড এসে আরও একবার ধাক্কা দিল মানবিক সমাজকে। প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে উন্নাওয়ের (Unnao) বছর ২৩-এর এক তরুণীকে গায়ে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ২ ব্যক্তি সহ মোট ৫ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও প্রাণে বাঁচানো যায়নি তাঁকে। সদ্য নিজের মেয়েকে হারিয়েছেন, সেই কষ্ট বুকে নিয়েই এবার গর্জে উঠলেন উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের (Unnao Rape Case) নিগৃহীতার বাবা। এনডিটিভির মাধ্যমে দিলেন স্পষ্ট বার্তা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। "আমি সরকার ও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কেবলমাত্র এটাই চাই যে আমার মেয়েকে যাঁরা পুড়িয়ে মেরেছে হয় সেই দোষীদের ফাঁসি দেওয়া হোক অথবা তাঁদের ঠিক হায়দরাবাদের এনকাউন্টারের মতো গুলি করে হত্যা করা হোক", এনডিটিভিকে বলেন উন্নাওয়ের নিগৃহীতার (Unnao Woman) বাবা।
তিনি আসলে ইঙ্গিত করতে চাইছেন যেভাবে তেলেঙ্গানা গণধর্ষণ ও হত্যায় অভিযুক্ত ৪ অভিযুক্তের পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে, ঠিক সেইভাবেই মৃত্যু হোক তাঁর মেয়েকে যাঁরা মৃত্যুর দেশে পাঠিয়েছে, তাঁদেরও।
উন্নাওয়ের মৃতা তরুণীর বাবা বলেন, তাঁর মেয়ে তাঁকে ওই নৃশংস হামালার আগের রাতেই তাঁকে বলে ছিলেন যে রায়বরেলির আদালতে গিয়ে তিনি জানতে চাইবেন কীভাবে একজন ধর্ষণের অভিযুক্ত মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে জামিনে মুক্তি গেলো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হামলাকারীদের মধ্যে থাকা অভিযুক্ত শিবম ত্রিবেদী মাত্র পাঁচ দিন আগে জামিনে মুক্তি পায়।
উন্নাওয়ে গেলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি, দেখা করলেন মৃত ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে
"তবে ও আমাকে বলেনি যে ও সকালে ট্রেনে নাকি বাসে, কীভাবে রায়বরেলি যাবে। ও আমাকে ভোরে ঘুম থেকে না জাগিয়েই একা একা চলে যায় ... কিন্তু সেই সময়েই রাস্তায় তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে অভিযুক্তরা এবং পরে তাঁর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বাঁচার জন্যে এক কিলোমিটার দৌড়ে যায় আমার মেয়ে এবং পুলিশকে খবর দেয়", বলেন মৃতার বাবা।
উন্নাও ধর্ষণকাণ্ডের মৃত তরুণীর বাবা এনডিটিভিকে বলেন যে এই হামলার একদিন আগেই অভিযুক্তরা নিগৃহীতা এবং তাঁর বাবাকে পুড়িয়ে বা গুলি করে মেরে দেওয়ার হুমকি দেয়"।
তাঁর বাবা অভিযোগ করেন, "প্রাথমিকভাবে স্থানীয় থানার পুলিশ আমাদের কথায় কান দেননি বলে ধর্ষণের ঘটনার চার মাস পরে এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযুক্তরা স্থানীয় পুলিশদের ঘুষ দিতেন"। পরে লখনউ থেকে উপরতলার চাপ আসার পরেই ওই এফআইআর নেয় পুলিশ।
উন্নাওয়ের ধর্ষিতার গ্রামে এসে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রীরা
মহিলার ভাই বলেন যে বোন তাঁকে বলেন যে "ওই পুরুষদের মৃত অবস্থায় দেখতে" চান তিনি । "আমার বোন বলেছিলো, 'দয়া করে আমাকে বাঁচাও, আমি ওদের মৃত দেখতে চাই'। আমি বলেছিলাম আমরা ওকে বাঁচাব। কিন্তু আমরা তা করতে পারিনি। আমার বোন আর নেই এবং আমিও চাই ওই ৫ জনের আর বাঁচা উচিত নয়। এটাই আমরা আশা করি", বলেন মৃতার ভাই।
উন্নাও কাণ্ডের পর উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে প্রায় সমস্ত বিরোধী দল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার বাইরে ধর্ণায়ও বসেন। সমালোচনা করেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতীও। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও তীব্র সমালোচনা করেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের।
দেখে নিন এই ভিডিও: