Supreme Court: ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার এক আসামির ফাঁসি আপাতভাবে স্থগিত করল আদালত
হাইলাইটস
- ২০১৮ সালে ৩ বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করে অনিল সুরেন্দ্র যাদব
- তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় গুজরাটের সুরাটের আদালত
- সেই ফাঁসি আপাতভাবে রদ করল সুপ্রিম কোর্ট
নয়া দিল্লি/সুরাট: শিশুকে ধর্ষণের (Rape) পর খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তির ফাঁসি আপাতভাবে স্থগিত করল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০১৮ সালে গুজরাটের (Gujarat) সুরাটে শিশুটিকে ধর্ষণ করার পর নির্মমভাবে হত্যা (Rape and Murder) করা হয়। সুরাটের একটি আদালত এর আগে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি আসামি অনিল সুরেন্দ্র যাদবকে ফাঁসি দেওয়ার আদেশ দেয়। ২০১৮সালের অক্টোবরে সুরাটে মাত্র ৩ বছর বয়সী এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ফাঁসির আদেশ আপাতভাবে রদ করল সুপ্রিম কোর্ট। অনিল সুরেন্দ্র যাদবের হয়ে তার আইনজীবী শীর্ষ আদালতে ফাঁসির রায় স্থগিতের আবেদন জানান। তার আইনজীবী যুক্তি দিয়েছিলেন যে সমস্ত আইনি প্রতিকার শেষ হওয়ার আগেই এভাবে মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করা যায় না।
যাদবের কাছে সুরাট আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করার জন্য ৬০ দিন সময় রয়েছে এবং তার আগে কোনওভাবেই তার মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করা যায় না, সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী অপরাজিতা সিং।
জেলখানার দেওয়ালে মাথা ঠুকতে দেখা গেল নির্ভয়া কাণ্ডের দোষী বিনয় শর্মাকে
আইনজীবীর শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি এস এ বোবদে বলেন, "এর আগে সুপ্রিম কোর্টই রায় দিয়েছিল যে একজন আসামির সমস্ত আইনি প্রতিকারের চেষ্টা শেষ হওয়ার আগে কিছুতেই মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করা যায় না, শীর্ষ আদালতের এই রায় সত্ত্বেও, কীভাবে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করতে পারেন? এভাবে বিচারবিভাগীয় প্রক্রিয়াটি উপেক্ষা করা যায় না"।
২০১৮ সালে ১৪ অক্টোবর সন্ধের সময় আচমকা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল তিন বছরের শিশুট্। বাড়ির লোকজন প্রচুর খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে পাশের একটি বন্ধ বাড়ি থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ মৃত শিশুর প্রতিবেশী বছর কুড়ির অনিল যাদবকে বিহার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদতে বিহারের বাসিন্দা অনিল কাজের সূত্রে সুরাটে বসবাস করত। আর থাকত মৃত শিশুটির ফ্ল্যাটের নিচে থাকা অন্য একটি ঘরে।
Nirbhaya Case: চার অপরাধীর ফাঁসি ৩ মার্চ ভোর ৬টায়
অনিলকে জেরা করে জানা যায়, তিন বছরের ওই শিশুটিকে ভুলিয়ে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে সে। তারপর তাকে খুন করে একটি বস্তার মধ্যে ভরে ফেলে। পরে সবাই যখন খোঁজাখুঁজি করছে তখন বস্তাটিকে একটি বন্ধ বিল্ডিংয়ের মধ্যে ফেলে দিয়ে বিহারের বাড়িতে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।