This Article is From Nov 08, 2018

বাজি ফাটানোর উপর বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দিল্লিতে বায়ু দূষণের দাপট

বায়ু দূষণের কথা চিন্তা করে রাত  8 টা থেকে 10টা পর্যন্ত বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছিল আদালত

বাজি ফাটানোর উপর বিধি নিষেধ থাকা  সত্ত্বেও দিল্লিতে বায়ু দূষণের দাপট

বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের ঘোলাটে হতে  শুরু করেছে  পরিস্থিতি।

হাইলাইটস

  • বুধবার রাত 11 টার সময় দিল্লি এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ছিল 302
  • সন্ধ্যা সাতটার পর থেকেই খুব দ্রুত বদলেছে পরিস্থিতি
  • রাজধানীর আনন্দ বিহার, এবং জাহাঙ্গিরপুরীতে দূষণের পরিমাণ ছিল বেশি
নিউ দিল্লি:

বাজি ফাটানোর সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বলে  দিয়েছিল কী ধরনের বাজি ফাটানো যাবে।  কিন্তু সেই সময়সীমা পেরিয়ে  যাওয়ার  দীর্ঘক্ষণ বাদেও দেদার বাজি ফাটল  দিল্লিতে। আর তাই বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের ঘোলাটে হতে  শুরু করেছে পরিস্থিতি। এর আগে বুধবার রাত 11  টার  সময় এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স ছিল 302।  কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের বেঁধে দেওয়া হিসেব অনুযায়ী এই পরিমাণ ‘খুব খারাপ' ক্যাটাগরিতে পড়ে। দেখা  যাচ্ছে  বুধবার সন্ধ্যা সাতটার পর থেকেই খুব  দ্রুত  বদলেছে পরিস্থিতি।  হিসেব বলছে  7 টার সময় বায়ু দূষণের পরিমাণ ছিল 281। এক ঘণ্টা বাদে মানে রাত  8টার সময় তা হয় 291। আরও  এক ঘণ্টা  বাদে  এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স হয়ে  যায় 294। রাত 10টায় আরও কিছুটা বেড়ে দূষণ সূচক  296- তে পৌছে যায়।

বায়ু দূষণের কথা চিন্তা করে রাত  8 টা থেকে 10টা পর্যন্ত বাজি ফাটানোর অনুমতি দিয়েছিল আদালত। দিল্লি এবং তার আশপাশের এলাকার জন্য একমাত্র পরিবেশ বান্ধব বাজি  ফাটানোর অনুমতি দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। পুলিশকেও বিশেষ নির্দেশ  দিয়েছিল আদালত। বলা হয়েছিল দেখতে হবে কোনও অবস্থাতাতেই যাতে নিষিদ্ধ বাজি বিক্রি না হয়। তবু যদি তেমন কিছু হয় তাহলে ওই থানা এলাকার পুলিশ আধিকারিকদের এই ঘটনার দায় নিতে হবে।  বিষয়টিকে আদালতের অবমাননা  হিসেবেই দেখা হবে।  কিন্তু রাজধানীর  আনন্দ বিহার, আইটিও এবং জাহাঙ্গিরপুরীতে দূষণের মাত্রা  ছিল  খুবই বেশি। এছাড়া লাজপত নগর, লুটিয়ান্স দিল্লি, আই পি এক্সটেনশন, দ্বারকাতেও  সুপ্রিম নির্দেশ অমান্য করে বাজি  ফেটেছে বলে  খবর।

জানা গিয়েছে দীপাবলিতে দিল্লির দমকল বিভাগের কাছে  আগুন লাগার খবর জানিয়ে   

209 টি  ফোন এসেছে।  তার মধ্যে 89 টি  ফোন থেকে  বিভিন্ন জায়গাত থাকা  আবর্জনায় আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। এরই মধ্যে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে 10 দিনের ‘ক্লিন এয়ার ক্যাম্পেন' শুরু করেছে।

 

.