2019 Independence Day: স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কলকাতাসহ দেশের মোট ১৯টি বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে নিরাপত্তা সংস্থা (প্রতীকি ছবি)
কলকাতা: দেশের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কলকাতা ও জেলাগুলিতে নিরাপত্তার কড়াকড়ি করা হয়েছে বলে জানালেন কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে যেমন নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে, তেমনই, অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে শহরে প্রবেশ এবং প্রস্থানের মূল পয়েন্টগুলিতে, পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক। তিনি বলেন, “শহরে প্রবেশের ২৩টি পয়েন্টে আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। শহর এবং তার আশাপাশের সমস্ত ছোটোবড় হোটেল, গেস্টহাউজ গুলিতেও নজদারি চালানো হচ্ছে, যাতে এই সময়ে কোনও বহিরাগত উপযুক্ত নথি ছাড়াই থাকতে না পারে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া”।
শহরের ট্রাফিক বিভাগের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, শহরে যে সমস্ত বাইক আসছে, সেগুলিতে তল্লাশি চালাচ্ছে কলকাতা পুলিশ, একইসঙ্গে বিমানবন্দরগামী বাইকগুলিতেও তল্লাশি চলছে। ওই আইপিএস আধিকারিক বলেন, “শহরে আসা বাইকগুলিতে পুরোপুরিভাবে তল্লাশি চালানো হয়্ছে। ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াও গাড়ির বৈধ নথি পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। কোনওরকম গোলমাল দেখলেই কঠোর পদক্ষেপ করা হচ্ছে”।
স্বরাষ্ট্র দফতরের এক আধিকারিক জানান, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে বিশেষ রাজ্যের প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার পরিস্থিতি মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ওই আইএএস আধিকারিকের কথায়, “কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে, এবং স্বাধীনতা দিবসে উদযাপনে আমরা নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রটোকল মেনে চলছি। আগামিকালের জন্য নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনও খামতি রাখছি না”।
স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে কলকাতাসহ দেশের মোট ১৯টি বিমানবন্দরে হাই অ্যালার্ট জারি করেছে নিরাপত্তা সংস্থা। এয়ারপোর্ট অথরিটিসহ সব রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের পুলিশবাহিনীকে অ্যালার্ট পাঠানো হয়েছে।
স্যান্ড ব্যাঙ্কার্স তৈরি করা ছাড়াও শহরের বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজেও সজাগ দৃষ্টি রাখছে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। শহরের মধ্যে এবং তার বাইরে নিরাপত্তা নিয়ে ওই আইপিএস আধিকারিক বলেন, “আননেমড এরিয়াল ভেইক্যালসের মাধ্যমে শহরের লোকজনের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হবে। শপিংমল, সিনেমা হলসহ শহরের তীর্থস্থানগুলিতে বেশী করে নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আমাদের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে”।
রেড রোডকে ১৪টি জোনে ভাগ করা হয়েছে, এবং পুলিশের শীর্ষ কর্তারা সেখানে নজরদারি চালাবেন। রাজ্যের অন্যান্য জায়গাতেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।
মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর কোচবিহারের মতো সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের এক আধিকারিক।
ঝাড়খণ্ড, বিহার, ওড়িশার মতো প্রতিবেশী রাজ্যের সীমানাগুলিতেও নিরাপত্তার বাড়তি নজরদারি রয়েছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)