পুলিশকে বোকা বানাতে সুইসাইড নোট লিখেছিলেন মূল অভিযুক্ত।
লখনউ/হাপুর: উত্তরপ্রদেশে শিশু অপহরণ (UP Girl Child rape) এবং ধর্ষণের ঘটনায় অবশেষে গ্রেপ্তার পলাতক অভিযুক্ত দলপত। প্রায় একসপ্তাহ পর এই ঘটনায় সাফল্য পেল হাপুর জেলার পুলিশ। জানা গিয়েছে, চলতি সপ্তাহের প্রথমে অভিযুক্তের একটা স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছিল। নিগৃহীতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ শুনেই প্রকাশ করা হয়েছিল সেই স্কেচ। পাশাপাশি অভিযুক্তকে খুঁজে দিলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ঘটনার পর তদন্তকারীদের বোকা বানাতে কিছু কাপড় ও সুইসাইড নোট একটা জলাশয়ের কাছে রেখেছিল অভিযুক্ত। সেই সুইসাইড নোটে উল্লেখ ছিল, "পুলিশি এনকাউন্টারে মরতে চাই না। তাই আত্মহত্যা করলাম"। যদিও তারপরেও পুলিশ অভিযুক্তের সন্ধানে হাপুর ও তার পাশের জেলায় তল্লাশি অভিযান জোরদার করেছিল।
এদিকে, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন নিয়ে মীরাটের এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই নিগৃহীতা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, "গত সপ্তাহে বাড়ির সামনে থেকেই ওই শিশুকে বাইকে চড়ে এসে অপহরণ করেছিল অভিযুক্ত। সেদিন সন্ধ্যায় নিগৃহীতার পরিবার নিখোঁজ ডায়রি করলে, তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরেরদিন গ্রামের এক ঝোপের ধারে রক্তাক্ত ও ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় সেই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।" এর পরেই তাকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করে ওই শিশু যখন নিগ্রহের শিকার। তখনই তাকে মীরাটের স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে একটা অস্ত্রোপচারের পর নিগৃহীতের স্থিতিশীল। কিন্তু এখনও বিপন্মুক্ত নয়। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগেই দিল্লিতে নির্মমভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল এক কিশোরী। ধর্ষণের পর তার যৌনাঙ্গ কাঁচি দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছিল অভিযুক্ত। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে এইমসে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ।