தமிழில் படிக்க Read in English
This Article is From Apr 30, 2019

ছয় বছরের শিশু কন্যাকে খুন করে, মৃতদেহের সঙ্গেই যৌন তাণ্ডব চালাল চৌকিদার

পুলিশ জানিয়েছে, “অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সোনু জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি শিশুটিকে মেরে ফেলেন এবং তারপর যৌনতা করেন।”

Advertisement
সিটিস
হরিদ্বার:

শিশুকে হত্যা করে, ছোট্ট মৃত শরীরের সঙ্গেই যৌনতা করলেন উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের (Uttarakhand's Haridwar) একজন নিরাপত্তা রক্ষী! নারকীয় এই ঘটনায় অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করার পর, পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে সে সাফ জানিয়েছে, ছয় বছর বয়সী ওই শিশুকন্যাকে প্রথমে প্রাণে মেরে ফেলে সে, তারপরে মৃতদেহের উপরেই যৌন নির্যাতন চালায়।

 স্কুলশিক্ষককে নির্মমভাবে হত্যা করে ভাসিয়ে দেওয়া হল নদীতে

শুক্রবার হরিদ্বারের একটি গ্রামে বস্তির অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করছিল এই শিশুটি, তারপর থেকেই পাত্তা মেলে না তাঁর। কাছেই একটি পোল্ট্রি ফার্মে কাজ করে অভিযুক্ত সোনু। পরিবারের অভিযোগ, লোভ দেখিয়ে গ্রামের কাছাকাছি একটি জংলা এলাকায় শিশুটিকে নিয়ে যায় সে এবং যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে। মেয়েটি যখন চিৎকার করে উঠে, তখনই সে তাকে মেরে ফেলে মৃতদেহের উপরেই যৌন নির্যাতন করে।

Advertisement

হরিদ্বারের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট জন্মেজয় খন্দুরি বলেন, “অপরাধের ঘটনা প্রতিষ্ঠা করার জন্য প্রয়োজনীয় সব গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণই আমরা সংগ্রহ করেছি।” তিনি বলেন, “মেয়েটির সাথে যে বাচ্চারা খেলছিল, তাঁরা আমাদের জানিয়েছে যে শিশুটিকে শেষ অভিযুক্তের সাথেই দেখা গিয়েছিল। অভিযুক্ত অপরাধ স্বীকার করেছে। প্রমাণগুলিতেও এই বিষয়টিই নিশ্চিত।” এই নিরাপত্তা রক্ষী যে শিশুটিকে হত্যা করে এবং মদ্যপ অবস্থায় মৃতদেহের উপর যৌন নির্যাতন চালায় এই বিষয়টি সন্দেহ হওয়ার পরেই পুলিশ অভিযুক্তের নারকো পরীক্ষা করে। 

৩২ X ১৫-ইঞ্চির রহস্যময় পায়ের ছাপ দেখা গেছে, কার পায়ের ছাপ!

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, “অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সোনু জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি শিশুটিকে মেরে ফেলেন এবং তারপর যৌনতা করেন। প্রমাণ ইতিমধ্যেই ফরেনসিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।”

পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই শিশুর বাবা মা দু'জনেই দৈনিক পারিশ্রমিকের ভিত্তিতে মজুরি খাটেন। উত্তরপ্রদেশের বিজনোরের এই দুই শ্রমিক যে ক্ষেতে কাজ করছিলেন, সেখান থেকে মাত্র ৬০০ মিটার দূরেই এই নারকীয় ঘটনাটি ঘটেছে।

Advertisement

শনিবার সকালে শিশুটির লাশ উদ্ধার হওয়ার পরই সোনুকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং তাকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় জড়িত দ্বিতীয় আসামীর খোঁজে তদন্ত চলছে।

মেয়েটির পরিবার এই ঘটনায় অন্য ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই এই পাহারাদার ও অন্য একজন ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলা হয় শিশুটির বাবা মায়ের। শিশুটির একজন আত্মীয় বলেন, “তিন দিন আগে, পাহারাদার ও অন্য একজন লোকের সঙ্গে আমাদের ঝামেলা হয়েছিল। ওই ঝামেলার পরে আমরা তিন দিন মাঠে কাজ করতে যাইনি, এরপরেই তারা এই গুরুতর অপরাধ ঘটিয়েছে। আমি জানি না, কেন কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না সহ-অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।”

Advertisement