রাজনৈতিক মহলে সকলেই অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন সুষমা স্বরাজকে।
নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত (Sushma Swaraj Death) হয়েছেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ (Sushma Swaraj) । হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার (Sushma Swaraj Death) ঠিক আগে মঙ্গলবার সন্ধেয় বিশিষ্ট ওবর্ষীয়ান আইনজীবী হরিশ সালভের (Harish Salve) সঙ্গে কথা হয়েছিল সুষমার। আন্তর্জাতিক আদালতে কুলভূষণ যাদবের কেসটি লড়ছেন হরিশ। তাঁর সঙ্গে বুধবার দেখা করার কথা ছিল সুষমার। মঙ্গলবার ফোনে সুষমার সঙ্গে কথা বলা প্রসঙ্গে NDTV-কে হরিশ জানান, ‘‘গলা শুনে মনে হচ্ছিল উনি খুব আনন্দিত এবং খুব খুশি রয়েছেন। তিনি জানতে চাইছিলেন কেন আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করিনি। আমি বলেছিলাম আমি আসব এবং আজ (বুধবার) তাঁর সঙ্গে দেখা করব। তিনি বলছিলেন, তোমাকে আসতে কে না তোমার ফিজ আমি দেব। তুমি কোথায় যেন বলেছ এক টাকাও তুমি নাওনি। আমি যাদবের কেসটার জন্য এক টাকা তোমায় দেব।''
সুষমা স্বরাজকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে আবেগে ভাসলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি
তিনি আরও বলেন, ‘‘তিনি খুবই প্রফুল্ল মেজাজে ছিলেন এবং বলছিলেন, আমি আজকাল আমার মেয়ের অফিসে কাজ করি। আজ সন্ধে ৬টায় ওঁর সঙ্গে আমার দেখা করার কথা ছিল। আমি প্রচণ্ড চমকে গিয়েছি। এর ১০ মিনিট পরেই ওঁর কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।''
৬৭ বছরের সুষমা স্বরাজ দিল্লির এইমস হাসপাতালে প্রয়াত হন মঙ্গলবার রাতে।
সুষমা স্বরাজের প্রয়াণের পরে আবেগঘন টুইট বার্তা স্মৃতি ইরানির
হরিশ জানাচ্ছেন, ‘‘তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে একটা শূন্যতা তৈরি করে গেলেন। তিনি ছিলেন পুরনো প্রজন্মের রাজনীতিবিদ। তিনি জানতেন কী করে অসম্মত হওয়া যায় বিবদমান না হয়েও। আক্রমণাত্মক না হয়েও চ্যালেঞ্জ করতে জানতেন। তিনি ছিলেন হৃদয়গ্রাহী, সুবক্তা। কখনও রাগ করতেন না।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘তাঁকে তাঁর দলের সদস্যরাতো বটেই বিরোধী দলের সদস্যরাও অত্যন্ত সম্মান করতেন। তাঁর ব্যক্তিত্বই এমন ছিল তাঁর সঙ্গে যাঁর সাক্ষাৎ হত তিনিই ওঁকে ভালবেসে ফেলতেন।''
প্রসঙ্গত, গুপ্তচর সন্দেহে পাকিস্তানে আটক ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কুলভূষণের হয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে সওয়াল করছেন হরিশ।