Hasin Jahan মুখ খুললেন মহম্মদ শামিকে নিয়ে
নয়াদিল্লি: ভারতীয় পেস তারকা মহম্মদ শামির (Mohammed Shami) বিবাহ-বিচ্ছিন্ন স্ত্রী হাসিন জাহান (Hasin Jahan) মঙ্গলবার ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আদালত তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসায় যুক্ত থাকার অভিযোগের ভিত্তিতে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করেছে। কলকাতা আলিপুর কোর্ট শামিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে হাসিন জাহান বলেন, ‘‘আমি বিচার ব্যবস্থার কাছে কৃতজ্ঞ। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমি ন্যায়ের জন্য লড়ছি। আপনারা সবাই জানেন, শামি মনে করে ও খুব ক্ষমতাবান। মনে করে ও একজন বড় ক্রিকেটার।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘যদি আমি পশ্চিমবঙ্গে না থাকতাম, যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের মুখ্যমন্ত্রী না হতেন, আনি এখানে নিরাপদে থাকতে পারতাম না। আমোরা (উত্তরপ্রদেশ) পুলিশ আমাকে ও আমার মেয়েকে হয়রান করার চেষ্টা করেছিল। এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ যে তারা সফল হয়নি।''
গ্রেফতারি পরোয়ানা এই ক্রিকেটারের নামে, অভিযোগ গার্হস্থ্য হিংসার
পুলিশ একই মামলায় শামির পাশাপাশি তাঁর ভাই হাসিদ আহমেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
গত বছর সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বামী শামির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি ক্রিকেটার ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসায় জড়িত থাকার আবেদন করেন তিনি। বহু মহিলার সঙ্গে শামির কথোপকথনের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেন তিনি।
মহম্মদ শামি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এসবই তাঁকে ফাঁসানোর চক্রান্ত।
এবছরের মার্চে পণ নেওয়া ও যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা হয় শামির বিরুদ্ধে। তাঁর স্ত্রী মাসিক ৭ লক্ষ টাকা দাবি করেন খোরপোশ হিসেবে।
এক মাস পরে প্রাক্তন মডেল হাসিন জাহান শ্বশুরবাড়ির একটি ঘরে নিজেকে বন্দি করে জানান, তাঁর অধিকার রয়েছে এখানে থাকার। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে আটক করতে বাধ্য হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ছাড়া পাওয়ার পর হাসিন বলেছিলেন, ‘‘আমি আমার স্বামীর বাড়িতে এসেছি এবং আমার এখানে থাকার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। পুলিশ তাঁদেরই সমর্থন করছে। পুলিশের উচিত ওঁদের গ্রেফতার করা। কিন্তু ওরা আমাকেই থানায় নিয়ে এল।''
২০১৪ সালে বিয়ে হয় শামি ও হাসিন জাহানের।