This Article is From Aug 05, 2019

অক্টোবরে ভারত সফরে হাসিনা, আলোচনায় আগ্রাধিকার পাবে তিস্তা চুক্তি ও রোহিঙ্গা ইস্যু

গত ডিসেন্বরেই প্রতিবেশী বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য ফের ক্ষমতায় শেখ হাসিনা।

অক্টোবরে ভারত সফরে হাসিনা, আলোচনায় আগ্রাধিকার পাবে তিস্তা চুক্তি ও রোহিঙ্গা ইস্যু

তবে ঢাকা আশাবাদী যে, নয়াদিল্লি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই চুক্তির বিষয়ে রাজি করাতে পারবে। (ফাইল)

ঢাকা:

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। সফর কালে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে সূত্রে খবর। তবে আলোচ্চসূচিতে আগ্রাধিকার পাবে তিস্তা জল বন্টন (Teesta water sharing) ও রোহিঙ্গা ইস্যু (Rohingya crisis)। গত ডিসেন্বরেই প্রতিবেশী বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন হয়েছে। তৃতীয়বারের জন্য ফের ক্ষমতায় শেখ হাসিনা। উল্লেখযোগ্য সেই জয়ের পর এই প্রথম ভারত সফরে আসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা (Sheikh Hasina)। বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী ডঃ একে মোমেন (Dr A K Momen) সংবাদসংস্থাকে পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে জানান, ‘চলতি মাসের শেষেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) বাংলাদেশ সফরে আসছেন। তারপরই অক্টোবরের কবে ভারতে যাবেন প্রধানমন্ত্রী তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।‘ আগস্টের ২০ তারিখ দুদিনের সফরে বাংলাদেশে যাবেন এস জয়শঙ্কর। 

৫৪টি নদীর জল ভাগাভাগি করে নেয় ভারত ও বাংলাদেশ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিস্তা। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তিস্তার জল বন্টন চুক্তি (Teesta water sharing) প্রায় চূড়ান্ত হয়েছিল। উভয় রাষ্ট্রের ক্ষমতায় তখন ডঃ মনমোহন সিং ও শেখ হাসিনা। কিন্তু, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রবল আপত্তিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ডঃ মেনন বলেন,  ‘এই সফরে শেখ হাসিনা তিস্তার জল পেতে ভারতের কাছে পের আর্জি জানাবেন।'

দুই বাংলাতেই তিস্তার জলের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষত বাংলাদেশে এই সময় তিস্তার বহমানতা ৫০০০ কিউসেক থেকে কমে দাঁড়ায় মাত্র ১০০০ কিউসেকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি সেই জায়গাতেই। তিনি মনে করেন, ভারতেও সেই সময় তিস্তার জলের গতি কমে যায়। নির্দিষ্ট পরিমানের বেশি জল বাংলাদেশকে দিয়েদিলে ক্ষতি হবে উত্তরবঙ্গের চাষবাসে। তাই ওই চুক্তির বিরোধী তিনি। তবে ঢাকা আশাবাদী যে, নয়াদিল্লি পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এই চুক্তির বিষয়ে রাজি করাতে পারবে।  রোহিঙ্গা সমস্যা ((Rohingya crisis)) দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় সমস্যা। বিষয়টি উল্লেখ করে নয়াদিল্লি ঢাকাকে যত দ্রুত সম্ভব এদেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের কথা জানিয়েছে। এই বিষয়টিও হাসিনার সফরকালে বিশেষভাবে আলোচিত হতে পার বলে মনে করা হচ্ছে। বিদেশমন্ত্রী ডঃ মেনন জানিয়েছেন, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ভারত, জাপান ও চিন সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।  

রোহিঙ্গা সমস্যায় জেরবার বাংলাদেশ। রাষ্ট্রপুঞ্জের (UN) হিসাব বলছে, মায়ানমারের রাখাইনে প্রদেশ থেকে প্রায় ৭ লক্ষ ৪৫ হাজার রোহিঙ্গাদের নির্যাতন করে বার করে দেওয়া হয়েছে। তারাই আশ্রয়ের খোঁজে প্রতিবেশী বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। পরে ভারত সহ আশপাশের নানা অঞ্চলে ছড়ি পড়েছে। যাদের ফিরিয়ে নিতে অবশ্য রাজি নয় মায়ানমার। 

মেনন জানান, তাঁর সঙ্গে ভারতের বিদশমন্ত্রীর এবিষয়ে ব্যাংককে কথা হয়েছে। জয়শঙ্কর (S Jaishankar) জানিয়েছেন, মায়ানমারের সরকার ও সামরিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের কাছে ভারত আর্জি জানিয়েছে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর জন্য।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.